1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত  বান্দরবানে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ লোহাগাড়ায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চোর আটক লামায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক লামায় আমতলী কমিউনিটি ক্লিনিক’র নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন লামায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা বৈধকরণ সভা বান্দরবানে অক্সিজেন সংযোগে বিলম্বে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রামুতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জন কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত লামায় রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট’র উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত আলীকদম বিজিবি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান মিয়ানমারের অভ্যান্তরে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

চকরিয়ার বমু বিলছড়ি থেকে শিশু শিক্ষার্থী হত্যার অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় একটি হেফজ মাদ্রাসার বাথরুম থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের পর খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর ঘটনার প্রধান আসামি রিদুয়ানুল হককে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই উপজেলার পূর্ব চরণদ্বীপ এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে অবস্থিত দারুস ছুফফাহ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবজার বলেন, গ্রেফতার আসামি রিদুয়ানুল শিশুটিকে সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে র‍্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।

র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবজার আরো বলেন, মামলাটি রুজু হওয়ার পর র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আসামির অবস্থান শনাক্তের পর তাকে গ্রেফতার করে। আসামিকে থানা-পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী শিশু শাবিব শাইয়ানকে (১১) গত ১৩ মার্চ সকালে প্রতিদিনের ন্যায় তার বাবা মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। এদিন রাতে আবার শাবিবকে নিতে যান তার বাবা। কিন্তু ওই সময় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জানান, শাবিব চতুর্থ তলায় বাথরুমে গেছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে না আসায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শাবিবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৬ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবা মশিউর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রিদুয়ানুল হক। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক তাপস কর্মকার বলেন, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হলেও ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং বলাৎকারের আলামত পাওয়া যায়। প্রাথমিকে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাদ্রাসা শিক্ষক রিদুয়ান অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

থানা-পুলিশ বলছে, গত ১৩ মার্চ এই মাদ্রাসার বাথরুমের দরজা ভেঙে শাবিব শায়ানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শিশুটি গলায় প্যান্টের বেল্ট দিয়ে একটি স্ট্যান্ডের সঙ্গে ফাঁস লাগান ছিল। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা ধারণা করে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে মরদেহের ময়নাতদন্তে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং জোরপূর্বক শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আলামত পাওয়া যায়। এই ঘটনায় গত ১৬ মার্চ নিহতের বাবা মশিউর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে চকবাজার থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের বলেন, এই ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে হত্যা মামলা হিসেবে নেয়া হয়। মামলা হওয়ার অনেক পরে ফরেনসিক রিপোর্টে বলাৎকারের বিষয়টি উঠে আসে। যেহেতু মামলাটি এখনো তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। তদন্ত শেষে বলাৎকারের ঘটনাটি প্রতিবেদনে দাখিল করা হবে।
ওসি আরো বলেন, এই মামলায় এজাহারনামীয় তিন আসামিই মাদ্রাসাটির শিক্ষক। এর মধ্যে দুজনকে পুলিশ ঘটনার কিছুদিন পর গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি রিদুয়ানুল হককে মঙ্গলবার পুলিশ আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত রিমান্ড এখনো শুনানি করেননি।

নিহত সাবিব দারুস ছুফফাহ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মশিউর ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর দামপাড়ার ২ নম্বর পল্টন রোডে আবদুল কাদের টাওয়ারে থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট