1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানের রুমায় বম পার্টির প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে সেনাবাহিনীর অভিযান লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা নাগরিক সেবায় “আমার লোহাগাড়া ডট কম” ওয়েবসাইটের যাত্রা বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ‘তামাক চাষের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন’ গবেষণা চলছে লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের টেবিল টেনিস একাডেমি ও এক্সপ্যানশন ইনিশিয়েটিভ’র উদ্বোধন করলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ লামায় সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত  বান্দরবানে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ লোহাগাড়ায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চোর আটক লামায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক লামায় আমতলী কমিউনিটি ক্লিনিক’র নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন লামায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা বৈধকরণ সভা বান্দরবানে অক্সিজেন সংযোগে বিলম্বে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রামুতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জন কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

চকরিয়ায় চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

 

চকরিয়া প্রতিনিধি |

 

চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ১৭ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বছর চাষাবাদ করতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ঠিক সময়ে চাষিরা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন।

প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশ, সময় মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে বোরো ফলেছে আশানুরূপ। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। বর্তমানে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে সোনালি ধান ইতিমধ্যে কাটতে শুরু করছেন প্রান্তিক কৃষকরা। বোরো ফলন ভালো হওয়ায় চলতি বছরও লক্ষমাত্রা অতিক্রম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এমনটা নিশ্চিত করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্র এখন বোরো ফসলের মাঠে পাকা ধানের সোনালি হাসি। বৈশাখের উজ্জ্বল রোদে সেই হাসি আরও ঝলমল করছে। নতুন ধানের গন্ধে জনপদের গ্রামে-গ্রামে নবান্নের সাজ সাজ রব। মাঠে মাঠে কৃষকরা কাস্তে নিয়ে ধান কাটার উৎসবে নেমে পড়েছেন। কুয়াশা ভেজা সকাল থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কর্তনের চিরাচরিত দৃশ্য এখন সর্বত্র।

বর্তমানে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন এলাকায় ধান মাড়াই, বাছাই আর শুকানোর কাজে ব্যস্ত এখানকার কৃষক পরিবার। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে এ বছর শুরুর দিকে মিঠাপানির কিছুটা সংকট থাকলেও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন কিন্তু ভালো হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও কৃষকের মন ভরছে না। কারণ বর্তমান সময়ে কৃষিতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে এতে তাদের উৎপাদন খরচই মিলছে না এমন অভিযোগও করেছেন বেশ কয়েকজন কৃষক।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উন্নয়ন শাখা) রাজীব দে বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ১৭ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু করা হয়। তৎমধ্যে এ বছর প্রায় বার হাজার হেক্টর জমিতে উপশী জাত ও পাঁচ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়। জমিতে যেসব চাষাবাদ করা হয়েছিল তৎমধ্যে উপশী জাতের ব্রি-ধান ২৮, ৭৪, ৭৫, ৫৮, ৬৪, ৮৭ ও বঙ্গবন্ধু ১০০।

এছাড়াও স্থানীয় জাতের মধ্যে (হাইব্রিড) চাষাবাদ করা হয় হিরা, টিয়া, ময়না, হিরা ২, হিরা ৫ ও ধানি গোল্ড। মূলত জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার ও আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহারের কারণে চাষাবাদে ফলন বৃদ্ধি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন বলেন, ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে চাষের শুরুতেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে নানা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকরা কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক গুটি ইউরিয়া ও এলসিসি পদ্ধতি অনুসরণ করে বোরো চাষাবাদ শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকেরা ভাল ফলন ঘরে তুলতে পারে বলে জানান।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও মিঠাপানির সমস্যার দেয়। তারপরও কৃষকেরা ঠিকই বোরো চাষাবাদে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে। আশাকরি ২-১ সাপ্তাহের মধ্যেই অবশিষ্ট জমির বোরো ধান কাটা শেষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট