1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত  বান্দরবানে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ লোহাগাড়ায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চোর আটক লামায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক লামায় আমতলী কমিউনিটি ক্লিনিক’র নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন লামায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা বৈধকরণ সভা বান্দরবানে অক্সিজেন সংযোগে বিলম্বে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রামুতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জন কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত লামায় রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট’র উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত আলীকদম বিজিবি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান মিয়ানমারের অভ্যান্তরে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

পাহাড়ি বন গরু (গয়াল) দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
  • ৩২৩ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

 

পাহাড়ি গরু দেখতে অনেকটা গৃহপালিত গরুর মতো। যা আমাদের দেশে গয়াল, বা বন গরু নামেই বেশি পরিচিত। গৃহপালিত গরুর তুলনায় গয়ালের গোশত বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিত্তশালীদের কাছে কোরবানির জন্য দিন দিন গয়ালে চাহিদা বাড়ছে। আর তাই সারাবছরের তুলনায় কোরবানির হাটে গয়ালের বিক্রিও অনেকটাই বেড়ে যায়।

কিন্ত জনসাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে, গয়াল দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে কিনা। কেননা, কোরবানি একটি ইবাদত। যা করা হয়ে থাকে কেবলমাত্র আল্লাহ তায়া’লাকে রাজি খুশি করার জন্য। অন্যান্য ইবাদতের মতো কোরবানির জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান। এ সব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো কোরবানি দিলে কোরবানি হবে না- তা সহজ ও সুস্পষ্ট একটি কথা। এটা ইসলামের বিধানও বটে।

কোন কোন পশু কোরবানির উপযুক্ত তা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে ইসলামি শরিয়ত। তিন শ্রেণির পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে। যেমন ১) ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। ২) গরু, মহিষ। ৩) উট।

পবিত্র কে‍ারআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে প্রদান করেছেন, তার ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে নিজেরা আহার করো এবং দুঃস্থ, অভাবগ্রস্থকে আহার করাও। ’ –সূরা হজ : ২৮

কোরআনে কারিমে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি। যাতে আমি তাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছি; সেগুলোর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। ’ –সূরা হজ : ৩৪

উল্লিখিত দু’টি আয়াত থেকে পরিষ্কার বুঝে আসে কোরবানির পশু হতে হবে গৃহপালিত প্রজাতিভুক্ত। কোরবানি ও হজ সংক্রান্ত হাদিসগুলোতে কোরবানি যোগ্য যেসব পশুর নাম পাওয়া যায়- তার সবগুলোই গৃহপালিত পশু।

উক্ত আয়াতদ্বয় এবং এ সংক্রান্ত হাদিসগুলোর ভিত্তিতে প্রাচীনকালের ইসলামিক স্কলাররা মত ব্যক্ত করেছেন যে, কোরবানির শুদ্ধ হওয়ার জন্য পশু গৃহপালিত প্রজাতির হওয়া শর্ত। কোনো বন্য পশু দিয়ে কোরবানি করলে তা শুদ্ধ হবে না। ফিকাহ শাস্ত্রের বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বলা হয়েছে, ‘কোনো বন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নেই। যদি বন্য ও গৃহপালিত পশুর সংমিশ্রণে কোনো পশুর জন্ম হয় তবে তার হুকুম নির্ধারণের জন্য মা পশু ধর্তব্য হবে। যদি মা পশু বন্য হয় এবং পিতা পশু গৃহপালিত হয় তবে তা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। … আর যদি এমন কোনো বন্য হরিণ দিয়ে কোরবানি করা হয়- যাকে পোষ মানানো হয়েছিল অথবা এমন কোনো বন্য গরু দিয়ে কোরবানি দেওয়া হয় যাকে লালন-পালন করা হয়েছিল তবুও সে কোরবানি জায়েজ হবে না।

অতএব, উপরোক্ত আয়াতের বাহ্যিক অর্থ ও ইসলামিক স্কলারদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বলা যায়, সরকার ও বন বিভাগ কর্তৃক পাহাড়ি গয়ালের আবাদ ও বাজারজাতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও, বন্য পশুর তালিকা থেকে গয়ালের নাম কেটে দেওয়া হলেও এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের লোকালয়ে তা আবাদ হলেও পাহাড়ি গয়াল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। তবে কোরবানি ব্যাতীত তা জবাই করে খাওয়া জায়েজ। অর্থাৎ গয়ালের গোশত জায়েজ কিন্তু কোরবানি জায়েজ নয়। লেখক: মুফতি মাহফুযুল হক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট