1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রাখাইনে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৩১ লামায় নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান সম্পন্ন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা আলীকদমে অনুষ্ঠিত হলো ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স আল্ট্রা ম্যারাথন’ লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক বছরে ৪৫৭ নরমাল ডেলিভারি লামায় ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযান, ৪ ইটভাটাকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট শান্তিচুক্তির ২৮ বছর, যা বলছে জেএসএস আজ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে! তিন পার্বত্য জেলার স্কুলে বসছে স্টারলিংক সংযোগ কক্সবাজারের গ্রামে গ্রামে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ লামায় এইডস প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন

বান্দরবানে নানান সংকটে নির্বাচন বিমুখ জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ আঞ্চলিক দলগুলো

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪২২ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা  ডেস্ক |

নিবন্ধন বাতিল, বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ও দেশান্তরসহ রাজনৈতিক নানান সংকটে বান্দরবানে নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ জামায়াাত ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি, ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। অপরদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে প্রচার চালাচ্ছে নব গঠিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

বান্দরবানে আগামী আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে প্রস্তুত। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় কর্মসূচি পালন করলেও রাজপথে রাজনৈতিকভাবে তাদের দুই গ্রুপ বিভক্ত।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জামায়াতের পক্ষ থেকে বান্দরবান আসনে জেলার সাবেক আমির মরহুম আমিনুল হক আজাদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। সেই থেকে দলটি কেন্দ্রীয়ভাবে জোটগত নির্বাচনে অংশ নিয়ে বান্দরবান আসন বিএনপিকে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও যুদ্ধ অপরাধের দ্বায়ে দলটির শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতার ফাঁসি, মৃত্যু ও কারাদন্ডসহ অলিখিতভাবে সরকার জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় মামলা ও হুলিয়া নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বেশ বেকায়দায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় ঐক্য জোট থেকে বেরিয়ে গেছে জামায়াতে ইসলামী। তাছাড়াও জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত আপিল মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী অংশ গ্রহণের বিষয়টি অনেকটা অনিশ্চিত।

এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর বান্দরবান জেলা শাখার আমির মও. আবদুস সালাম আজাদ জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও সকল দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। আ’লীগ সরকারের অধীনে জামায়াত কখনো নির্বাচনে যাবে না। নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দল সিদ্ধান্ত নেবে জামায়াত জোটগত নাকি একক নির্বাচনে অংশ নেবে।

অন্যদিকে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতো তিন গ্রুপে বিভক্ত বান্দরবানের নেতাকর্মীরা। বান্দরবানে জাতীয় পার্টির তিন গ্রুপের কমিটি থাকলেও রাজপথে প্রকাশ্যে কোনো কর্মকাণ্ড নেই তাদের। জাতীয় পার্টি বিদিশা এরশাদ সমর্থিত বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি কাজী নাছিরুল আলম জানান, আমরা সব সময় নির্বাচনমুখী দল। দলগতভাবে আমরা বান্দরবান আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আছে। তবে নির্বাচনের আরো বেশ কয়েক মাস বাকি। এই কয়েক মাসে দেশের প্রেক্ষাপট অনেক কিছুই পরির্বতন হতে পারে। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসনে আমাদের দল কীভাবে নির্বাচনে যাবে সেটা জানতে হলে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে বান্দরবানে রাজনীতির মাঠে আরেকটি ফ্যাক্টর জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। বিগত ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বান্দরবান আসন থেকে জনসংহতি সমিতির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে জেএসএস এর শসস্ত্র সদস্যরা খুন, অপহর, গুম ও চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মামলার আসামি হয়ে অনেকে জেলে আছেন। অনেক নেতৃবৃন্দ মামলার আসামি হয় আত্মগোপনে আছেন। বান্দরবানের রাজ পথে বর্তমানে প্রকাশ্যে জেএসএস-এর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। বর্তমানে জেএসএস এর স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পার্বত্যাঞ্চলের অপর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) জেলা সমন্বয়ক ছোটন কান্তি তংচ্গ্যা অসুস্থতাজনিত কারণে দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর দলটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

অপরদিকে বান্দরবান জেলায় প্রভাব বিস্তার করেছে নব গঠিত অঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। দলটির নেতা কর্মীরা বাঙালিদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন সময় জেলা উপজেলায় নানান কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে বাঙালিদের আস্তা অর্জন করেছে। বান্দরবান জেলা সদরসহ লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলিকদম উপজেলা বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় আগামী নির্বাচনে ভোটের মাঠে সংগঠনটি বড় ধরনের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে, এটা নিশ্চিত।

এ বিষয়ে নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমান বলেন, গত দু’বার আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নমিনেশন চেয়েছি। এবারও নমিনেশন চাইব। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে মানব সম্পদের উন্নয়নে কাজ করার মূল প্রতিশ্রুতি থাকবে। সূত্র- পার্বত্যনিউজ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট