মো. নুরুল করিম আরমান |
তামাক চাষের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করা এবং সামাজিক সচেতনতা জোরদার করার লক্ষ্যে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ‘তামাক চাষের পরিবেশগত ও আর্থসামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন: একটি সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণা শুরু হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত এ গবেষণা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গৃহীত হয়। এ গবেষণার প্রকল্প পরিচালক জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি ঢাকা’র অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভূইয়া তত্বাবধায়ক হিসেবে সংযুক্ত আছেন। যথাযথ ফলাফল নির্ণয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে তামাক চাষের জনমিতিক তথ্য, তামাক চাষীদের আর্থসামাজিক তথ্য, তামাক চাষ সম্পর্কিত তথ্য, চাষীদের স্বাস্থ্যগত তথ্য ও পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছ। এ গবেষণার পরিকল্পনা অনুসারে ১৫০ তামাক চাষী হতে সাক্ষাৎ গ্রহণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ গবেষণার কর্ম এলাকা হিসেবে তামাক চাষ অধ্যূষিত বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলাসহ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা চিহ্নিত করা হয়।
এ ধারাবাহিকতায় গুনগত তথ্য সংগ্রহের জন্য এক এফজিডি সভা লামা পৌরসভা এলাকার ছাগল খাইয়া হেডম্যান পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে তামাক চাষি, ব্যবসায়ী, হেডম্যান, কারবারি, জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন। এ গবেষণার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ, কর্তৃপক্ষ ও তামাক চাষিগণ তামাক চাষের পরিবেশগত বিপর্যয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন। একইসাথে চাষিগণ বিকল্প চাষের সন্ধান করে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সক্ষম হবে বলে জানান, গবেষণার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ। তিনি বলেন, দ্রুত গবেষণা কর্ম শেষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন সমাজসেবা অধিদপ্তর বরাবর পেশ করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা জোরদার করার জন্য সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা হবে। মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধ ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ গবেষণা। গবেষণা কর্মটি একটি তত্ত্ব উদঘাটনমূলক ও সামাজিক নমুনায়ন জরিপ। গুণগত গবেষণার লক্ষ্যে এ কর্মটি পরিচালিত হচ্ছে।