মো. নুরুল করিম আরমান |
‘বাধা কাটিয়ে উঠুন, এইডস মোকাবেলায় গতি আনুন’ -এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বিশ^ এইডস দিবস উপলক্ষ্যে জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের (গ্রাউস) সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও নাগরিকতা; সিভিক এনগেইজমেন্ট ফান্ড’র অর্থায়নে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার দিনগত রাতে শিল্পী সোহরাব হোসেনের বাঁশির সূরে সূরে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে ‘জানলেই বাঁচা যায়’ ‘তরুণ প্রজন্ম, সচেতন প্রজন্ম’ ‘এইচআইভি সম্পর্কে জানুন’, ভুল ধারণা দূর করুন, নিরাপদ থাকুন’, ‘এইচআইভি এর বিরুদ্ধে লড়াই, একসাথে সবার তরে’ লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড স্থান পায়। এতে ভিডিও প্রামান্যচিত্র দিয়ে সহযোগিতা করে লামা তথ্য অফিস।
প্রদর্শনীতে সহকারি তথ্য অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল হক, প্রকল্পের সহকারি কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা, সাংবাদিক মোহাম্মদ করিম. মো. নুরুল করিম আরমান, চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন, আমিনুল ইসলাম খন্দকার, শফিকুল ইসলাম ও মো. আলমগীর, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এনজিও প্রতিনিধিসহ স্থানীয় জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সহকারি কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা বলেন, দিবসটি উপলক্ষ্যে ভিডিও প্রামান্যচিত্রের মাধ্যমে অরক্ষিত যৌনতা, দূষিত সূঁচ ও বুকের দুধ খাওয়ানো বা গর্ভাবস্থায় মা থেকে সন্তানের সংক্রমণ হতে পারে বলে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি তুলে ধরা হয় এইচআইভি’র লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয় সমূহ। রাতে প্রচুর ঘাম হওয়া, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি, জ্বর, পেশীতে ব্যাথা, শরীরে ফুসকুডি ও গলা ব্যথা দেখা দেওয়াই হচ্ছে এইডস’র লক্ষণ। জনসচেতনতা ও সকলের ঐকান্তিক চেষ্টায় এইডস-এর ভয়াবহতা থেকে মুক্তি সম্ভব বলে তুলে ধরা হয় প্রদর্শনী ও প্রামান্যচিত্রে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাবিশ্বে আজকের দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত