পার্বত্ চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৮ বছর পূর্তিতে জেএসএস বলেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাঁচটি নির্বাচিত সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কেউ তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখায়নি। স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকারও দীর্ঘ সময় পেয়েও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো কার্যকর করেনি। ফলে ২৮ বছর পরও চুক্তির মূল ধারা, বিশেষ করে দুই-তৃতীয়াংশ বিষয়, অবাস্তবায়িত রয়েছে।জেএসএসের অভিযোগ অনুযায়ী, অবাস্তবায়িত বিষয়গুলো হলো: পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে প্রশাসনিক ক্ষমতা ন্যস্ত করা। ভোটার তালিকা তৈরি করে পার্বত্য জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচন আয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে পার্বত্য পুলিশ বাহিনী গঠন। ভূমি কমিশনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ও জুম্মদের জমি ফেরত দেওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে। এছাড়া ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ। তবে পাঁচ মাসে একটি সভা হলেও বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার বলেন, পাহাড়ের মূল সমস্যা হলো ভূমি। এক লাখের বেশি অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী এখনও জমি ফেরত পাননি এবং তাদের ভিটায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেন, আগামী নির্বাচিত সরকারকে চুক্তি বাস্তবায়নে উদার মনোভাব দেখাতে হবে এবং চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র- পাহাড়সমুদ্র