1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানের রুমায় বম পার্টির প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে সেনাবাহিনীর অভিযান লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা নাগরিক সেবায় “আমার লোহাগাড়া ডট কম” ওয়েবসাইটের যাত্রা বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ‘তামাক চাষের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন’ গবেষণা চলছে লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের টেবিল টেনিস একাডেমি ও এক্সপ্যানশন ইনিশিয়েটিভ’র উদ্বোধন করলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ লামায় সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত  বান্দরবানে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ লোহাগাড়ায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চোর আটক লামায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক লামায় আমতলী কমিউনিটি ক্লিনিক’র নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন লামায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা বৈধকরণ সভা বান্দরবানে অক্সিজেন সংযোগে বিলম্বে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রামুতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জন কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক : লবণ পানিতে ‘বিপজ্জনক’ মহাসড়ক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া (কক্সবাজার)

রাতের বেলায় খোলা ট্রাকে করে লবণ পরিবহনের কারণে গলে পড়া (নিঃসৃত) পানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে ওঠেছে ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়াই উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে এসব লবণ পরিবহনে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। মহাসড়কের কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে চকরিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দুর্ঘটনা যেন লেগেই আছে।

সর্বশেষ গত ১৫ দিনের ব্যবধানে মহাসড়কের কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৩৯ কিলোমিটার অংশে ৮টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছেন অনেকে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সামপ্রতিক সময়ের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশ ঘটেছে লবণ পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ার কারণে। এই তথ্য জানিয়ে মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, রাতে এবং ভোরবেলায় দেখলেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে গলে পড়া লবণ পানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে ওঠেছে বিটুমিনের মহাসড়কটি। এতে একটু করে ব্রেক কষলেই মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ছে যানবাহন। তিনি বলেন, সর্বশেষ আজ (গতকাল) শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটায় আজিজনগর এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি লবণ পানির কারণেই দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন চালক ও সহকারী।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. দিদারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, খোলা ট্রাকে করে পরিবহনের সময় লবণ পানি নিঃসৃত হয়ে সরাসরি মহাসড়কে পড়ায় বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের প্রলেপও উঠে যাচ্ছে। বিটুমিনাসের নিচের স্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সড়কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে পত্র দেওয়া হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। যদিও বা দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক এন-১ এর প্রতি কিলোমিটারে প্রয়োজনীয় সাইন সিগন্যাল, রোড মার্কিং, রিফ্লেক্টিভ রোড স্টাডস্ ও সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকসমূহে শেভরন সাইন, রাম্বল স্ট্রিপস ও অ্যাডভান্স ডিরেকশনাল সাইন স্থাপন করা হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক চাই কক্সবাজার জেলার সভাপতি জসীম উদ্দিন কিশোর বলেন, মালুমঘাট ট্র্যাজেডির পর সড়ক বিভাগের নেওয়া উদ্যোগের ফলে দুর্ঘটনা কমেই এসেছিল। গত এক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে চকরিয়া অংশে একের পর এক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত লবণ যেনতেন ভাবে পরিবহন করার কারণে।

এই ব্যাপারে চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, চকরিয়ার লবণ চাষি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অচিরেই সভা করা হবে। যাতে ত্রিপল ছাড়া কোনো অবস্থাতেই লবণ পরিবহন করতে না পারে।

সড়ক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ ও নিরাপদ সড়ক চাই তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চকরিয়ার মালুমঘাটে সবজি বোঝাই মিনি পিকআপ চাপায় একই পরিবারের ৬ ভাই নিহতের ঘটনায় সবার বিবেককে নাড়া দেয়। দেশজুড়ে আলোড়ন তুলে সেই ভয়াবহ ঘটনাটি। এ নিয়ে কালের কণ্ঠসহ  বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কটির চকরিয়া অংশের ৩৯ কিলোমিটারের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলিকরণ, দিক-নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে করে মহাসড়কটির চকরিয়া অংশে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসে। কিন্তু লবণ পানির কারণে সম্প্রতি এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট