জিয়াউল হক জিয়া,স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সিডিউল বর্হিভুত গর্হিত অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে দিয়েই শুরু ব্রীজ ঢালাই কাজ।
গত শনিবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্হ চা-বাগান এলাকায় ব্রীজটির ঢালাই কাজ শুরু করেন শাহরিয়া কনক্ট্রাশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।শুরুতে ব্যাপক অনিয়মের সমালোচনার গন্ধের ঝড়ে বন্ধ হয় কাজ।পরের দিন রবিবার ফের কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্হানীয় সচেতন ব্যক্তিদের অভিযোগ,ছোট্ট একটি ব্রীজের কাজ পুকুর চুরির মত ঢালাই আর রড় চলানো দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি।পরে উপজেলার কর্তৃপক্ষ এসে আপাতত কাজ বন্ধ দেন।পরের দিন ফের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এভাবে কাজ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট সহ টেকসই কাজ হচ্ছে না মন্তব্য করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে কাজের স্হলে দেখা হয় উপজেলার ত্রাণ শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শেখ মামুন আর উপজেলার পিআইও শাখার দায়িত্বশীল রিদওয়ান।তাদের থেকে জাানতে চাওয়া হয়,সিডিউলের বাহির ব্রীজের নিচের তলাতে বান্দানো রড়,ঢালাইতে নিম্নমানের দেশীয় কালো পাথরের কংক্রিট,স্হানীয় খালের ময়লা মিশ্রত বালি,ব্রীজের তলায় জমাটবদ্ধ পানির উপর ঢালাই দেওয়া,সিলেটি বালি ব্যবহার কম,এক বস্তা সিমেন্টে কংক্রিট,বালির পরিমাণ বেশী কেন?এভাবেই কাজ করলে ব্রীজটির টেকসইতা কতটুকু হবে?বাজেট কত?দৈর্ঘ্য কত?নিচ থেকে উপরে দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরে শেখ মামুন জানান-বাজেট প্রায় ৪২লাখ,দৈর্ঘ্য ৩৬ফুট,নিজের দৈর্ঘ্য ১৮ফুট।স্হানীয় লোকজন অভিযোগ করেছে বলে জেলা ত্রাণ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী,উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা এসে প্রথম দিন ঢালায়ের কাজ বন্ধ করেছেন।কেননা ঠিকাাদার এখানে নিম্নমানের বালি এনেছে বটে সিলেটি বালি আনেনি।আজ সবকিছু আনার পর উর্ধতন কর্মকর্তারা দেখেছেন।পরে তা আমরা ভিডিও ধারণ করে রেখেছি।পরে কাজ করার অনুমতি দেন জেলা আর উপজেলার কর্মকর্তারা।তাই সারাদিন আমি এখানে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করাচ্ছি।রড়ের জালি বান্দাতে কোন অনিয়ম চোখে পড়েনি।ব্রীজের তলা থেকে সামান্য পানি যা দেখছেন।তা নিচ থেকে নাল হয়ে উঠেই চলছে।তাই পানি জমাট না হওয়ার জন্য পাম্প মেশিন দিয়ে উত্তোলনও করছি,কাজও চালাচ্ছি।এটি উপরে নির্দেশ।তবু্ও আপনারা আরো কিছু জানার থাকলে পিআইও স্যারের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন বলে কথা শেষ করেছেন।তবুও কংক্রিটের কথার জবাব দেননি তিনি।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল হাসনাত সরকারের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিয়েছি।র্দূভাগ্য তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।