1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ৩০০নং আসনে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে লামায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ফের সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত দু’জন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় মানবিক ফাউন্ডেশন লামায় এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা সামগ্রী সেলাই মেশিন প্রদান আলীকদমে মাতামুহুরি নদী থেকে লাশ উদ্ধার  লামায় এনসিপি’র উদ্যোগে আন্ত উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্ভোধন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আলীকদমে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা লামায় কোমর পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে, ব্রীজের দাবী এলাকাবাসীর লামার মিরিন্জা ভ্যালীতে আগুনে পুড়ে গেল জুৃম ঘর লামায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংষ্কার করলেন টমটম মালিক ও চালকরা সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, নিহত ৪ বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে লামায় সড়কে গাড়ি উল্টে চালক নিহত লামায় হাজার হাজার নারী পুরুষের প্রতিরোধের মুখে ইটভাটায় অভিযান চালাতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানি দল

অল্প বৃষ্টিতে খুশি চাষি তবে চকরিয়া-পেকুয়ায় লবণ উৎপাদন ব্যাহত

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

চকরিয়া প্রতিনিধি। 

মিঠাপানির অভাবে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল বোরো ধানের আবাদ। দিগন্তজোড়া ধানক্ষেতের সেচ দেওয়া নিয়ে রাজ্যের দুশ্চিন্তা ভর করছিল কৃষকদের মাথায়। কখন বৃষ্টি নামবে সেই আশাতেই ছিলেন প্রান্তিক কৃষকেরা। অবশেষে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতের দেখা মিলেছে।

বিরতি দিয়ে সেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে ধানক্ষেতসহ রকমারি সবজি ক্ষেত। এই বৃষ্টি ধান ও সবজি চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হলেও উপকূলজুড়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টির কারণে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় লবণ উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে। একই অবস্থা লবণ উৎপাদনকারী অঞ্চল কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও।

বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে মাঠে বিছানো পলিথিন মুড়িয়ে রাখতে দেখা গেছে লবণ চাষিদের। অবশ্য আধুনিক পদ্ধতির (পলিথিন পদ্ধতি) চাষিদের তেমন ক্ষতি না হলেও সনাতন পদ্ধতিতে (সরাসরি মাটিতে) যারা লবণ উৎপাদনে নেমেছেন তারা আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

এই বিষয়ে বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী গতকাল বিকেলে দৈনিক আজাদীকে বলেন, চলতি মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে কিছু সময়ের জন্য। এজন্য লবণ উৎপাদন তিন থেকে চারদিন ব্যাহত হতে পারে। এরপর থেকে আবারো দেদারছে লবণ উৎপাদন করতে পারবেন চাষিরা। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী অঞ্চল কক্সবাজারের আট উপজেলা যথাক্রমে চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার (একাংশ) সিংহভাগ চাষি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বণ করেই

লবণ উৎপাদন করে থাকেন। এজন্য আধুনিক পদ্ধতির চাষিদের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে সংখ্যায় কম হলেও সনাতন পদ্ধতির চাষিরা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ তাদেরকে নতুন করে মাঠকে লবণ উৎপাদনের উপযোগী করে তুলতে হবে। তবে সেই সমস্যাও কেটে গিয়ে ফের লবণ উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরবে।

কক্সবাজার লবণ চাষি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মকছুদ আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, বৃষ্টিপাতে লবণ উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে এখনো চাষিদের হাতে আরো দেড়মাসের বেশি সময় রয়েছে। এই সময়টাই হচ্ছে প্রচণ্ড দাবদাহকাল। সেই দাপদাহের তাপেই দেদার লবণ উৎপাদন হবে। যদি আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেদার লবণ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি আমরা।

এদিকে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, এই বৃষ্টিপাত যদি আরো কিছুটা সময় ধরে হতো তাহলে ধান, সবজির আবাদকারীরা আরো বেশি উপকৃত হতো। কারণ কৃষকেরা মিঠাপানির জন্য হাহাকার করছিলেন। তাই মৌসুমের প্রথম এই বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট