লামা প্রতিনিধি |
আলীকদম উপজেলার উঃ উইচারা ভিক্ষুর নেতৃত্বে লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার পাহাড়ি জায়গা জবর দখল চেষ্টা, বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলাস্থ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান চংপাত ¤্রাে এসব অভিযোগ তুলেন। এ সময় স্থানীয় দিরওয়াই ¤্রাে সহ ¤্রাে জনগোষ্ঠির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান চংপাত ¤্রাে বলেন, লামা উপজেলার ২৮৫নং সাংগু মৌজায় ম্রো সম্প্রদায়ের দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলীয় জুমভূমি রয়েছে। সম্প্রতি ম্রোদের উচ্ছেদ করে সেখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে রিসোর্ট তৈরির উদ্যোগ নেন আলীকদম উপজেলার ভরিমুখ বৌদ্ধ বিহারের উঃ উইচারা ভান্তে। এ কাজের জন্য ভান্তে ৩০% চাঁদাও দাবি করেন আমার কাছে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উঃ উইচারা ভান্তের নেতৃত্বে আলীকদম উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার অবৈধভাবে সাঙ্গু মৌজায় অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার ও মৌজাবাসীর নির্মিত ৩টি জুমঘর ভাংচুর করে। এরপর ৫০০০পাইয়া বাঁশ, ৬০০টি ঠুনি, ১০০ পাকা পিলার, ৮০ ফুট তক্তা, ১৫০টি বিম, ১টি ৩ গুড়া সাবমারসিবল পানির পাম্প, ১৫০০ লিটার ক্যাপাসিটির ২টি পানির ট্যাংক, ২ কয়েল সার্ভিস তার, ৮কিলো ক্যাপাসিটির জেনারেটর, ২০০০ ফুট পানির পাইপ, ২০০০ ফুট পল্লী বিদ্যুৎ তার, ২ সেট সৌর বিদ্যুৎ, ৩৫ বাইন টিন, ৫০ বস্তা সিমেন্ট এবং বিবিধ মালামালসহ ২১ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই সময়ে হামলাকারীরা আমার কেয়াটেকার থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। এসব ঘটনায় আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও থানায় অভিযোগ করায় আরও ক্ষিপ্ত হন উঃ উইচারা ভান্তে। এক পর্যায়ে গত ২১ মে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে নির্মাণাধীন এক বুদ্ধ মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অথচ ঘটনার সময় আমি লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরীর বাড়িতে একটি জরুরী মিটিং এ ছিলাম।
মৌজা হেডম্যান চংপাত ¤্রাে আরও বলেন, ১৯৯২ সালে ভরিমুখ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ উঃ উইচারা ভান্তে আবেদনের প্রেক্ষিতে মেরাইতং পাহাড়ে বুদ্ধ প্রতিবিম্ব, ভাবনা কেন্দ্র ও জাদী নিমাণের জন্য মেরেজা পাহাড় বৌদ্ধ ধর্মীয় ধম্ম জাদী ও বিহারে নামে সাংগু মৌজা হতে ৫.০০ একর জায়গা দান করেন আমার প্রয়াত দাদু। ভান্তে এ জায়গার বাহিরেও সাঙ্গু মৌজার শতাধিক একর জায়গা অবৈধভাবে জবর দখলের পায়তারা শুরু করেন। না পেরে এখন বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের মত ঘটনার নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িত্ব সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছেন। যা মোটেও কাম্য নয়। আমি মূর্তি ভাংচুরের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।