আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি |
“চলো আনন্দের সাথে শিখি” এই প্রতিপাদ্যর আলোকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় জাগো ফাউন্ডেশনের ‘এডুকেট দ্যা মোষ্ট ডিসএডভান্টেড চিলড্রেন (ইএমডিসি)’ শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১১ টায় আলীকদম উপজেলার দ্যা দামতুয়া ইন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এস.এ.এস.সিএ কারিম এর সভাপতিত্বে ও প্রোগ্রাম অর্গানাইজার আবু কায়েস এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ সোয়াইব। এ সময় প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন, টেকনিক্যাল অফিসার কাউসার আহমদ ইমন ও মনিটরিং এন্ড রিপোর্টিং অফিসার আবুল হাসনাত তারেক। জাগো ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প অবহিত করণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়ি মং মার্মা,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বিএসসি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার রোকসানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ,সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন,২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো,জাগো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ দ্রুব,ইউনিসেফ’র এডুকেশন অফিসার, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় ৪ নং কুরুকপাডা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো বলেন,পার্বত্য অঞ্চলে পিছিয়েছে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএনডিপি পরিচালিত প্রাইমারি স্কুল আমার ইউনিয়নে ১১ টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করার হয়ে। জাতীয় করণকৃত স্কুলের শিক্ষকরা নিয়মিত স্কলে না যাওয়ার কারণে দূর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নের শিশুরা সু-শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষকরা বিভিন্ন অ-জুহাতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না বলে জানান। এ বিষয়ে জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এস.এ.এস.সিএ কারিম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উপযোগি সুবিধা বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিখন সহায়তা প্রদান করাই মূলত প্রকল্পের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য। আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়ন, ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন,৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন,৪নং করুকপাতাসহ লামা উপজেলার আজিজনগর, ফাসিয়াখালী, ফাইতং,গজালিয়া,রুপসীপাড়া, সরই, লামা সদর ও পৌরসভায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পের আলীকদম উপজেলায় উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা ১১০৯ জন। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের সময় সীমা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।