জোন কমান্ডার আরও বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার অসহায়, হত দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মুরুং সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদানও করেন তিনি।
মতবিনিময়ে মুরুং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইউএনডিপি পরিচালিত প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতীয়করণ করা হয়। এই ইউএনডিপির স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। জাতীয়করণকৃত স্কুলের শিক্ষকরা যদি দুর্গম এলাকায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে।
এ সময় কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো জানান, সদ্য জাতীয়করণ ইউএনডিপির স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বিশেষ করে দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৪,৫,৬, ও ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। তারা কাগজ কলমে অফিস ঠিক রেখে, প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন কিন্তু আমাদের সন্তানরা সঠিক শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মতবিনিময় শেষে মুরুং সম্প্রদায়ের ৬০ প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন- আলীকদম সেনাবাহিনীর ৩১ বীরের জোন কমান্ডার মো. সাব্বির হাসান পিএসসি। শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রতি জনকে চিনি, আটা, চা পাতা এবং লবণ দেওয়া হয় |