লামা প্রতিনিধি ।
গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পার্বত্য অঞ্চল ও চট্টগ্রামে অতি বর্ষনের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও জরুরি ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেছে বেসরকারী সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ। চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ১৬০ পরিবারের মাঝে সোমবার দুপুরে এ নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়। ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে দেওয়া হয়- খাদ্য ও পানীয়, পোশাক, আশ্রয়ের উপকরণ, জ¦ালানী, রান্নার পাত্র, ওষুধ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পরিবার ভিত্তিক নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ ওয়াশ কিটস্ প্যাকেজ হিসেবে ১টি ঢাকনাসহ প্লাস্টিক বালতি, ২টি জরিক্যান, ৪টি গোসলের সাবান, ৪টি কাপড় ধোয়ার সাবান, ৪টি পুনঃ ব্যবহারযোগ্য সুতির কাপড়, ১টি প্লাস্টিক মগ, ১২ প্যাকেট ওরস্যালাইন, ২ বোতল খাবার পানি এবং ১টি করে মাঝারি আকৃতির নেইল কাটার প্রদান করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের এ নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ উদ্ভোধন করেন। এ সময় কারিতাস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম লিড়ার এজেএম মাজহারুল ইসলাম ও উপজেলা ফোকাল পার্সন দেলোয়ার হোসাইন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস্, জার্সি সরকার ও সিআরএস-এর আর্থিক সহায়তায় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি সহ কক্সবাজার জেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বান্দরবানের স্থানীয় হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন ও রাঙ্গামাটিতে আশিকা ত্রাণ বিতরণে সহতায়তা প্রদান করে। এদিকে মঙ্গলবার একই প্রকল্পের উদ্যোগে বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায়ও ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে সংস্থাটি।
ত্রাণ বিতরণের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে প্রথম কারিতাস বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে। এজন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষে কারিতাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের। প্রসঙ্গত, পর্যায়ক্রমে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫০ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তাও উপকরণ বিতরণ করা হবে।