1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত

আলীকদম তৈন রেঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া গাছ চকরিয়া থেকে উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |

বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট তৈন রেঞ্জের আওতাধীন দপ্রু ঝিরি ও কাঁকড়া ঝিরি বনাঞ্চল থেকে  চুরি হওয়া মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধারে চকরিয়া অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব ও বন বিভাগের একটি অভিযানিক দল। এসময় চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে র‍্যাব ও বন বিভাগের লোকজন চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মগবাজার সংলগ্ন সালাম কাউন্সিলরের মালিকানাধীন একটি স’মিলে এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় স’মিল থেকে ৮শ ঘনফুট মূল্যবান সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত গাছ সাম্প্রতিক সময়ে আলিকদম তৈন রেঞ্জের আওতায় মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরি হওয়া কাঠ বলে শনাক্ত করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। উদ্ধারকৃত কাঠ গুলো পাঁচটি ট্রাক যোগে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো বিপুল পরিমাণ চুরি হওয়া কাঠ চোরাই কারবারিদের কাছে রয়েছে।

তবে চোরাই কাঠ উদ্ধার হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে লামা আলীকদম তৈন রেঞ্জ এবং সাঙ্গু সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় করছে কাঠ পাচার কারি সিন্ডিকেট।

জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে আলিকদমের তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলির প্রত্যক্ষ যোগ সাজশে তৈন রেঞ্জ সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আওতায় চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাঁকড়া ঝিরি ও দপ্রুঝিরি এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত বয়সী প্রায় তিন কোটি টাকার সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায় কাঠ পাচার কারি সিন্ডিকেট।

সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরি করে গাছ বিক্রির ঘটনা জানাজানি হলে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিনিয়র বন কর্মকর্তা হাবিব উল্লাকে আহ্বায়ক, লামার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব এবং ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। এই কমিটিকে সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

এদিকে বান্দরবানের আলীকদমে তৈন রেঞ্জ এর আওতাধীন সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তৃক তিন শতাধিক সেগুন গাছ অবৈধ উপায়ে বিক্রি করে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের তদন্ত টিম আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের তৈন রেঞ্জের কাঁকড়া ঝিরি ও দপ্রুঝিরির আশপাশের বনাঞ্চল ঘুরে দেখেন এবং গাছ চুরির প্রমাণও পেয়েছে। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিক তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী এবং বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হককে ক্লোজড এবং বাগান মালি অলক বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, চকরিয়ার এলাকার প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এর নেতৃত্বে সাঙ্গু রিজার্ভ ও মাতামুহুরী রিজার্ভ, তৈন রেঞ্জ সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ চোরাকারবারির বিশাল এক সিন্ডিকেট। বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই সিন্ডিকেটের কালো থাবায় সাঙ্গু ও মাতামুহুরি রিজার্ভ, তৈন রেঞ্জ এর সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল আজ বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি বন খেকোদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে আরও উজাড় হবে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বিপন্ন হবে জীব বৈচিত্র্য।

এ ব্যাপারে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলাল বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ চুরি ও পাচারের ঘটনা জানতে পেরে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই চুরির ঘটনায় ৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট