আলীকদম প্রতিনিধি |
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনীর শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্গম পাহাড়ী এলাকার জনগণ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল এবং সাধারণ মানের জীবনযাপনে অভ্যস্ত। আলীকদম সেনাজোন লামা ও আলীকদম এ দুই উপজেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ জনগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে সর্বাত্মক সহায়তা করে আসছে। শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে আলীকদম সেনা জোনের আওতাধীন আলীকদম ও লামা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সেক্রেটারীর সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শদ মিলন পিএসসি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অপারেশন উত্তরণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়নের অধীনে থেকে জোনসমূহ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেসামরিক প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। আলীকদম জোনের আওতাধীন এলাকায় বাঙ্গালী,পাহাড়ী ও মুসলমান ছাড়াও সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু, বৌদ্ধ ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে। সাধারণ জনগণের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরিতে জোন সর্বদা সচেষ্ঠ থাকে। এ ধারাবাহিকতায় নির্বিঘ্নে ধর্মীয় মহোৎসব পালনের স্বার্থে এবং সুষ্ঠুভাবে পূজা পরিচালনার লক্ষ্যে আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক সর্বদা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সভায় সেনাজোনের মেজর মোঃ পাভেল মাহমুদ রাসেল সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলন।
পরে আলীকদম সেনাজোন (৩১ বীর) কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাসিক অনুদান প্রদান করা হয়। রবিবার (০৬ অক্টোম্বর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় আলীকদম সেনা জোনের ক্যান্টিন সংলগ্ন হলরুমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানার শিক্ষক শিক্ষার্থী,গরীব ও দুঃস্থ পরিবারসহ উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা এবং আলীকদম মুরং কমপ্লেক্সে ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার বিল,ইলেকট্রিক এবং ক্রীড়া সামগ্রী বাবদ আর্থিক অনুদান প্রদানসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৩ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা করেন সেনাবাহিনী।
এ সময় উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শদ মিলন পিএসসি বলেন, আলীকদম সেনা জোনের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়নমূলক কাজ চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই সাথে আলীকদম জোনের আওতাধীন সকল ক্যাম্পগুলোতেও অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়ন মূলক কাজ এবং দুঃস্থদের চিকিৎসার্থে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।