1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী লামায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী আলীকদমে মাতামুহুরী নদীতে ভেসে আসা লাশটি নড়াইলের জুবাইরুল ইসলাম লামা ও আলীকদমে পর্যটক সুরক্ষায় ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ আলীকদমে অপহৃত দুলালকে উদ্ধার করেছে বিজিবি লামায় করোনায় আক্রান্ত এক শিক্ষার্থী নাইক্ষ্যংছড়ি জামায়াত নেতা রফিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত  কুতুব‌দিয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে বাজার ব্যবসা‌য়ি‌দের মানববন্ধন

ঈদগাঁও উপজেলার নয়টি গ্রামের জনগোষ্ঠী স্কুলবিহীন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

 

 

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার নয়টি গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বিগত অর্ধশত বছরেও গড়ে উঠেনি কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  সরেজমিনে জানা যায,উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডের নয়টি গ্রামে ১৫ সহস্রাধিক জনসংখ্যার বসবাস। এসব এলাকার শিশুদের জন্য নেই কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার কারণে কোমলমতি হাজারো শিশু মৌলিক অধিকার প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত। এতে অকালে ঝরে যাচ্ছে সম্ভাবনাময়ী অসংখ্য শিশুর শিক্ষা জীবন।

ব্যবসায়ী মৌলভি নজরুল ইসলাম জানান, নব্বইয়ের দশকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে ২ নং ওয়ার্ডের কৈলাশঘোনা গ্রামে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তি। ৪/৫ বছর পর সঠিক পরিচালনার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায় ।

বিদ্যালয়টি স্থাপনে তখন এলাকার তিন দানবীর যথাক্রমে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম,সাবেক ইউপি সদস্য ছগির আহমদ ও মৃত ছমন খাতুন যৌথভাবে ৩৩ শতক জায়গা দানপত্র করেন বলে জানান দাতারা।

বিদ্যালয়ের ওই সময়কার শিক্ষক মৌলানা শফিউল আলম ও এম নুরুল আমিন জানান, নব্বই দশকে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিকে তখনকার অবিভক্ত কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেফায়ত উল্লাহ দু’দফা ভোট কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন।পরে সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমান্বয়ে অস্তিত্বহীন হয়ে বর্তমানে বিদ্যালয়ের জায়গাটি ধান ক্ষেত হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

৪ নং ওয়ার্ড নাপিতখালী খেলার মাঠ সংলগ্ন স্থানে “মধ্য নাপিতখালী আদর্শ(স্বতন্ত্র) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা” নামে সরকারি তালিকাভুক্ত একটি মাদ্রাসা দীর্ঘ বছর যাবত চালু ছিল।সেটিও কতিপয় লোকের বাঁধার মুখে বন্ধের উপক্রম বলে জানান প্রধান শিক্ষক গিয়াস কামাল।

উক্ত ৪ টি ওয়ার্ডের ভৌগোলিক অবস্থান চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহাসড়কের ১ থেকে থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এসব এলাকার জনগণের ভাগ্যে জুটেনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা অনুদানভুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। বিশেষ করে মহাসড়ক অতিক্রম করে অতি দুরত্বের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে শিশুরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

৫নং ওয়ার্ডের জুমনগরে দুই হাজার সালের দিকে বন বিভাগের জায়গার উপর এনজিও সংস্থা একটি স্যাটেলাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিল।পরে প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে সেই সময়কার ইউপি সদস্য আবুল কালামের ( পরে সাবেক চেয়ারম্যান) নির্দেশনায় এলাকার লোকজন তা এখনো পর্যন্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে চালু রেখেছেন বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য আব্দু শুক্কুর।

উপরোক্ত ৪ টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যথাক্রমে প্যানেল চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন বাবুল, ছৈয়দ আলম, আবুল হোসেন ও নুর মোহাম্মদ অবিলম্বে এসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা দেলোয়ার হোসাইন জানান, শিক্ষা প্রসারের এসময়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হওয়া দু:খজনক এবং তিনি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেছেন ।

ঈদগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতি:দায়িত্ব) কৌশিক চাকমা জানান, “বিদ্যালয়হীন এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রকল্প” সরকার পুনরায় চালু করলে এসব এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহীন মিয়া জানান, এত দীর্ঘ সময়েও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হওয়াটাকে সচেতনার অভাব বলে মনে করেন। সরকার পুনরায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রকল্প হাতে নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন জানান।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সাথে কথা হলে জানান, ইসলামপুর চেয়ারম্যানও তাকে এ বিষয়টি অবগত করেছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ও এ নিয়ে তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে সরজমিনে বিদ্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করবেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মো: সালাহ উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেবেন জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট