দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আসন্ন ঈদ উল আজহার ছুটিতে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় সীমিত পরিসরে পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা বগালেক পর্যন্ত যেতে পারবেন এবং সেখানকার রিসোর্টগুলোতে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। সেনাবাহীনির ৩৬ বীর রুমা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে রুমা সেনা জোন সদরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি আরও জানান, রুমা সদরে অবস্থিত, তিন পার্বত্য জেলার পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে পরিচিত মুনলাই পাড়ার বেইজ ক্যাম্প ও রিসোর্টগুলোতেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন পর্যটকেরা।
তিনি বলেন, “পর্যটন কার্যক্রম পুরোপুরি চালুর আগে স্থানীয়দের শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিতে হবে। যদি ২০-৩০ দিনের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাহলে পর্যায়ক্রমে সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হবে।”
এ সময় পর্যটকদের নিরাপত্তায় গাড়িচালক, মোটরসাইকেলচালক ও গাইডদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন তিনি। পর্যটকদের রুমা প্রবেশপথে সেনা জোনের চেকপোস্টে একবার নাম ও কাগজপত্র নিবন্ধন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় জঙ্গি ও কেএনএফ বিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। পরে থানচি ও রোয়াংছড়ির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রুমা উপজেলায় তা এখনো বহাল আছে।
মতবিনিময় সভায় রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজের প্রভাষক সুইপ্রুচিং মারমা, রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিরা বম, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিনু মার্মা, রুমা অগ্রবংশ অনাথালয়ের পরিচালক উঃ নাইন্দিয়া ভিক্ষু, বম সোশিয়াল কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর সাবেক সভাপতি লালদুহসাং বম, রুমা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি, রুমা থানার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, টুরিস্ট গাইড, জিপ মালিক সমিতির প্রতিনিধি, মোটরসাইকেল চালক সমিতির প্রতিনিধি ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।