1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় : তিন সন্ত্রাসী আটক : অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লামায় বিভিন্ন অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো কাব কার্নিভাল-২০২৫ লামায় ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একজনের পা বিচ্ছিন্ন রোয়াংছড়িতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজিজনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝরনায় নিখোঁজ ছাত্র মেহরাবের লাশ ৪ দিনে মিলল রেজুব্রীজে

উখিয়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ : হাসপাতালে ভাংচুর!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত শারমিন আক্তার লিজা (৮) নামের এক শিশু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় রোগীর আত্মীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করেছে। রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিমানিশু ওয়ার্ডে এই রোগীর মৃত্যু হয়৷ শারমিন আক্তার লিজা (৮)উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাইছড়ি সমিতিরঘোনা এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে৷

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শারমিন আক্তার লিজা জ্বরে আক্রান্ত হলে রবিবার বিকালে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডেঙ্গু টেস্ট দিলে কোটবাজার অরিজিন হাসপাতালের টেস্টের রিপোর্টে পজিটিভ আসলে আবারও উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে৷ পরে রোগীকে নিরাপদ মা ও নিরাপদ শিশু (নিমানিশু) ওয়ার্ডে ভর্তি দেয়৷ ভর্তি দেওয়া পরপরই ডাক্তারের পরামর্শে নার্স স্যালাইন দেওয়ার এক ঘন্টা পরে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা যায়৷

রোগীর স্বজনরা ডিউটি ডাক্তার ও নার্সকে পূণরায় দেখার অনুরোধ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগী দেখতে না আসায় রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে চিৎকার করলে হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সরা রোগীর স্বজনদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে রোগী শারমিন আক্তার মারা যায়।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, মৃত রোগীর লাশ হাসপাতালের নিরাপদ মা ও নিরাপদ শিশু (নিমানিশু) ওয়ার্ডের বাহিরে রাখে৷ পরে রোগীর স্বজনরা ৯৯৯ এ কল দিলে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রোগীর স্বজনদেরকে উদ্ধার করে।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে মৃত রোগীর শারমিন আক্তার লিজা মামা খালেকুজ্জামান বলেন, আমার ভাগিনীর হঠাৎ জ্বর হলে পরিক্ষা করার পর ডেঙ্গু পজেটিভ আসলে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তারকে ডাকতে গেলে ডাক্তার ঘুম থেকে উঠে রোগী দেখতে আসবে বললেও আসেনি৷ পরে রোগী মৃত্যু নিশ্চিত হলে ডাক্তার এসে রোগী দেখে মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে জানান৷

আমরা চিৎকার করলে নার্স ও গার্ড কর্মীরা আমাদের একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে আমার উদ্ধার করে লাশসহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ পরে সোমবার সকালে রোগীর দাফন সম্পন্ন হয়৷

এদিকে উখিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রঞ্জন বড়ুয়া রাজন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাজেদুল ইমরান শাওনের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার জন্য অনুরোধ করেন৷

উখিয়া হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল ইমরান শাওন জানান, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়া আমরা রোগী ভর্তি করতে অনীহা প্রকাশ করি এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীকে রেফার করে দিতে চাই। কিন্তু রোগীর আত্মীয় স্বজন রেফার না নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মুসলেকা (ভন্ড স্বাক্ষর) দিয়ে জোর করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করান। কিন্তু আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার পূর্বেই রোগী মৃত্যুবরণ করেন। পরে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার, নার্সকে মারধর করেন এবং হাসপাতাল ভাংচুর করেন। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

৯৯৯ এ ফোন পেয়ে উখিয়া থানার এসআই সাজ্জাদ উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি রোগীর আত্মীয় স্বজনদের উশৃংখল অবস্থায়, পরবর্তীতে তাদের শান্ত করে রোগীরদের উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। সুত্র: কক্সবাজার জার্নাল

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট