1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
থামচিতে এক নারীর লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত বৃদ্ধ লামায় টমটমের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন

একাধিক দাবিদার; `ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত হলেই ট্রলার থেকে উদ্ধার মরদেহ হস্তান্তর’

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার প্রতিনিধি |

ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহগুলোর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে মরদেহগুলো পচে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হবে। পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ১০ মরদেহের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। অপর ৫ জনের মরদেহ দাবি করেছেন একাধিক স্বজন।

২৪ এপ্রিল, সোমবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন কক্সবাজার পৌঁছে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে যান। সেখানে ১০ মরদেহের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন। এ সময় মর্গের পাশে অবস্থান করা নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি আরও বলেন, এরা কীভাবে হত্যার শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, সমুদ্রে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। দস্যুতা রোধে মহেশখালী ও বাঁশখালীর বহু জলদস্যুকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমুদ্রে গমণ করা জেলেদের জন্য জিপিআরএস পদ্ধতি চালু করা হবে।

এ বিষয়ে সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের ডিআইজি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সব মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। সেই নমুনাগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচয় শনাক্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ‘যেসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্ট টেনে আনা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নামহীন ওই ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ছনখোলাপাড়ার রফিক উল্লাহর ছেলে শামসুল আলম। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে তার মরদেহও রয়েছে বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।

স্বজনদের দেওয়া তথ্য মতে, ৫টি মরদেহ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলা পাড়ার শামশুল আলম ওরফে শামশু মাঝি (৪০), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম (১৮) একই এলাকার মো. সাইফুল্লাহ (২৩) ও শওকত ওসমান (১৮) এবং চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকার মো. তারেক জিয়ার (১৮)।
পরিচয় চূড়ান্তভাবে শনাক্ত না হলেও মর্গে খুঁজতে আসা স্বজন ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত অপর ৫ জন হলেন-মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকার নুরুল কবির (২৩), একই এলাকার মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ (১৫), ওসমান গণি (১৭), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকার সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও একই ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকার মো. শাহজাহান (২৯)।


স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ট্রলারটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অপর একটি ট্রলার বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রলারটিকে টেনে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ভাটার পর রোববার সকালে ট্রলারটির ভেতরে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু হয়। ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় কাউকে ভালোভাবে চেনা যাচ্ছে না। তবে অনেকের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট