লামা প্রতিনিধি |
‘একুশে স্মৃতি পদক’ পেলেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার নারী নেত্রী ফাতেমা পারুল। সমাজে নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ পদক দেওয়া হয়। ফাতেমা পারুল শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কন্যা নন, তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নব জাগরণ মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতিও বটে। তার অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে উপজেলার অবহেলিত-বঞ্চিত নারীরা।
সংশ্লিূষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার সেগুন বাগিচাস্থ কেন্দ্রীয় কঁচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে ‘ভাষা আন্দোলন থেকে আজকের বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননার আয়োজন করে ‘একুশে স্মৃতি পরিষদ’ কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী একুশে স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান মিঞা। গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক উপমন্ত্রী ১৪ দলীয় কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী ও একুশে স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা হযরত শাহ সুফী সাইফ আনোয়ার মোবারকী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। পরে গুনিজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান মিঞা সমাজে নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানব সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় লামা থেকে ফাতেমা পারুলকে পদকে ভূষিত করে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। বিশেষ কারণে ফাতেমা পারুল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় প্রধান অতিথির হাত থেকে এ ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন সাংবাদিক হান্নান শাহ।
এ বিষয়ে ফাতেমা পারুল বলেন, পার্বত্য লামা উপজেলা থেকে আমাকে একুশে স্মৃতি পদকে ভূষিত করায় একুশে স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহা সচিব সহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
একুশে স্মৃতি পদ ‘২৪ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ‘একুশে স্মৃতি পদক’-এর মহা সচিব এম.এইচ আরমান চৌধুরী বলেন, ফাতেমা পারুলের সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা-দায়িত্ববোধ জাগ্রত হচ্ছে সমাজের অবহেলিত নারীদের মাঝে। এছাড়া সমাজে বাল্যবিয়ে, যৌতুক রোধ, পারিবারিক কলহ বন্ধ-সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়ও কাজ করার কারণে একুশে স্মৃতি পদকের জন্য মনোনীত হন ফাতেমা পারুল।