1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রাখাইনে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৩১ লামায় নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান সম্পন্ন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা আলীকদমে অনুষ্ঠিত হলো ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স আল্ট্রা ম্যারাথন’ লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক বছরে ৪৫৭ নরমাল ডেলিভারি লামায় ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযান, ৪ ইটভাটাকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট শান্তিচুক্তির ২৮ বছর, যা বলছে জেএসএস আজ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে! তিন পার্বত্য জেলার স্কুলে বসছে স্টারলিংক সংযোগ কক্সবাজারের গ্রামে গ্রামে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ লামায় এইডস প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন

কক্সবাজারের সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ: স্বস্তিতে জেলে ও ট্রলার মালিকেরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩০৭ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার প্রতিনিধি |

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর বৈরী আবাহওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূল প্রচণ্ড উত্তাল হলে জেলার বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছিল শত শত ট্রলার। ভরা মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েন জেলে ও ট্রলার মালিকেরা। গত বছরও এ সময়ে সাগরে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিয়েছিল। আর মাছ ধরতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েন জেলার ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি জেলে। অচল অবস্থায় পড়ে থাকে জেলার প্রায় ছয় হাজার ট্রলার।

তবে ১২ আগস্ট থেকে সাগর কিছুটা শান্ত হলে মাছ শিকারে নেমে পড়েন কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। অধিকাংশ ট্রলারে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আকারও বেশ বড়। সাগর থেকে ট্রলারবোঝাই মাছ নিয়ে হাসিমুখে ফিরছেন জেলেরা। পাশাপাশি রূপচাঁদা, লইট্টাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পরিমাণও কম নয়।
জেলেরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবাহওয়ার পরপরই সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় দারুণ খুশি তারা। আর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ দেখে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের।

২৩ জুলাইয়ের পর এই প্রথম কিছুটা সরগরম কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ সব ঘাট। তবে ইলিশের সরবরাহ ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ নেই বললেই চলে। সে কারণে এসব ইলিশ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
সাগরে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় ট্রলার মালিকরাও খুশি। এদিকে, ঘাটে ট্রলার ভিড়তেই মাছ খালাসে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন শ্রমিকরা। আর কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা। সামনে সরবরাহ বাড়লে দামও কিছুটা কমতে পারে। প্রতি ট্রলারে ৫শ’ থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়ছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার মৎস্য অবতরন ঘাটে দেখা যায়, একের পর এক ট্রলার ভিড়ছে ঘাটে। ট্রলারের কোলস্টোর (ইলিশ সংরক্ষণের কোটর) থেকে ঝাঁপি বোঝাই করে ইলিশ বিক্রির জন্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে স্তূপ করে রাখছেন ঘাট শ্রমিকেরা।
ঘাটে মাছ কিনতে আসা জুনাইদ জানান, ‘নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবাহওয়ার পর বেশ ভালোই মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে ইলিশে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম চায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম নিচ্ছে এক হাজারন থেকে ১২০০ টাকা, একটু ছোট ইলিশের দাম চায় কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। কীভাবে ইলিশ কিনব?’

কক্সবাজার শহরের ফিশারিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ‘ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তাই বাড়তি দামে ইলিশ কিনে দ্রুত তা প্যাকেটজাত করে গাড়িতে তুলে দিচ্ছি। আশা করি, ভালো একটা দাম পাব।
কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, বর্ষায় দুর্যাগপূর্ণ আবাহাওয়ায় সাগর কিছুটা উত্তাল হলেও জীবিকার তাগিদে ফিসারীঘাট থেকে শত শত ট্রলার গভীর সাগরে মাছ শিকারে নেমে পড়েছে।কিছু কিছু ট্রলার মাছ ধরে ঘাটে ফিরতে শুরু করায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান জানান, গত বছর (২০২২ সালে) কক্সবাজার উপক‚ল থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৩৫৪ মেট্রিক টন। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাগরে পানি বৃদ্ধি পেলে তখন বেশি ইলিশ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। এবার দুই মাস বন্ধ থাকায় মাছের প্রজননও বৃদ্ধি পেয়েছে।আশা করছি মৌসুমের শুরুতেই প্রচুর ইলিশ মিলবে।

তিনি জানান, গত ৬৫দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ১৯৩ জন জেলের জন্য ৩ হাজার ৫৩৮ মেট্রেক টন চাল বরাদ্ধ করেছে সরকার। নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে প্রথম পর্য়ায়ে ৫৬ কেজি এবং দ্বিতীয় পর্য়ায়ে আরও ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান,সাগর কিছুটা শান্ত হওয়ায় জেলেরা ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরতে ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে রয়েছে।ধীরে ধীরে বিপুল পরিমাণ ইলিশও ধরা পড়ছে। আশা করছি এতে জেলেদের অভাব দূর হবে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি করার লক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরো করলেও তা কেবল মাত্র চট্টগ্রামের ২৫৫টি ফিশিং বোডের জন্য বলবৎ ছিলো। গত বছর থেকে সাগরে মাছ আহরণের জন্য ব্যবহৃত যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে জেলেরা আন্দোলন করলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে। এতে চরম বিপাকে পড়েন এ পেশার সাথে জড়িত জেলে পরিবার, ট্রলার মালিক-শ্রমিক, আড়তদার, দাদনদার, বরফকলের সাথে সম্পৃক্ত সহ জাল প্রস্তুতকারী, তেল সরবরাহকারী, খাবার সরবরাহকারী লাখ লাখ পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট