কক্সবাজার প্রতিনিধি |
কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে অপহৃত সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জাহেদ হোসাইনকে (২৫) চারদিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। সোমবার মধ্যরাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালীর গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। অপহৃত জাহেদ হোসাইন উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালামারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। মঙ্গলবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। এ ঘটনায় আটক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮) রামু উমখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
র্যাব জানায়, ঘটনার দিন অপহৃত চালকের বড় ভাই ছৈয়দ হোসেন জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রী সেজে তার ভাই জাহেদের অটোরিকশা কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাবার জন্য ভাড়া করে। গাড়ীটি লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে জাহেদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকেই পরিবারকে একাধিকবার ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানান, সোমবার (২৫ মার্চ ) রাতের মধ্যে অর্থ না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে তারা র্যাবের শরণাপন্ন হন।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, অপহরণের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে র্যাবের অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় পাহাড়-অরণ্য বেষ্টিত এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করে কয়েক শত গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলে সেখানে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা শুরু করে র্যাব।
একপর্যায়ে সোমবার রাতে অভিযানকারীদের উপস্থিত আঁচ করতে পেরে অপহৃত জাহেদকে অকুস্থলে রেখেই সটকে পড়েন অপহরণকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অপহরণকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, এ ব্যাপারে অপহৃতদের স্বজনরা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।