1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাইশারীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল আলীকদমে দিনব্যাপী পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে সুফিয়া এবতেদীয়া মাদরাসা নির্ম্মানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এ্যাডভোকেট এম, এ কালাম… লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি গঠন থানচিতে খেয়াং নারী হত্যার প্রতিবাদে লামায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ আলীকদমে জাল সনদ তৈরির দায়ে ফটোকপি দোকান সিলগালা, ২০ হাজার টাকা জরিমানা লামায় জব্দকৃত বালুর নিলাম বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রসাশক বরাবরে আবেদন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ পরিবেশ অধিদপ্তরের থামচিতে এক নারীর লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত বৃদ্ধ লামায় টমটমের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

কক্সবাজার থেকে ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পৌঁছাবে তিন জোড়া ট্রেন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

গত ১৬ অক্টোবর কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১২ নভেম্বর কক্সবাজার রেললাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের জন্য সময় দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে আগামী ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে।’

চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ১২ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া এবং ঢাকা থেকে এক জোড়া ট্রেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে থেকে আসা-যাওয়া করবে। তিনটি ট্রেনই আন্তনগর। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। ট্রেনটি অন্য কোনও স্টেশনে দাঁড়াবে না। সরাসরি কক্সবাজার যাবে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো মাঝপথে কয়েকটি স্টেশনে দাঁড়াবে।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, কক্সবাজারগামী ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। ২০ মিনিট পর রাত ৪টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায়। চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে বিকাল ৪টায় ছেড়ে রাত ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে একটি সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে ষোলশহর, জানআলী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা ও রামু স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করাবে। এরপর সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেন বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ষোলশহর, জানআলী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা ও রামু স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করাবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে।

একইভাবে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে প্রথম ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। এটি রামু, ডুলহাজারা, চকরিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারী, পটিয়া, জানআলী হাট, ষোলশহর স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করাবে। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। কক্সবাজার স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে দ্বিতীয় ট্রেনটি ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়। এটি রামু, ডুলহাজারা, চকরিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারী, পটিয়া, জানআলী হাট, ষোলশহর স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করাবে। রাত ১০টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে সবকটি স্টেশনে থামাবে না ট্রেন। স্টেশনগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থামবে। এজন্য স্টেশনগুলোতে লোকবল পদায়নের কাজও শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চালানোর চাহিদা অনেক উল্লেখ করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস বলেন, ‘লোকবল ও ইঞ্জিন সংকটের কারণে কতটি ট্রেন চালানো যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। ঢাকা থেকে যে ট্রেনটি চলবে, সেটি নতুন। এটিতে ১৮টি বগি থাকবে।’

দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ‘দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ট্রলির সাহায্যে কয়েকবার টহলও দেওয়া হয়েছে। রেললাইন এখন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রকল্পের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এখন স্টেশনগুলোর কাজ চলছে। সড়কে লাইট লাগানোর কাজ চলছে। কক্সবাজারে নির্মাণাধীন ছয়তলা আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। রামু এবং ডুলহাজারা স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি স্টেশনগুলোর কাজও শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের অধীন ৩৯টি বড় সেতু, ২৪২টি কালভার্ট এবং ১৪৪টি লেভেল ক্রসিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবকটি স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।’

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৯২ কিলোমিটার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। সোর্স
বাংলা ট্রিবিউন

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট