সানজিদা আক্তার রুনা,নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে দুষ্কৃতকারী কর্তৃক গুলি করে গরু ছিনতাই করেছে।এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার (২৯ মার্চ ) রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টেকপাড়ায় এক প্রভাবশালী দুষ্কৃতকারীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে ও গুলি করে মো. মাহাবুবুর আলম (৩৫) এর নিকট থেকে ২৪টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। আরও জানা যায়, মাহাবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে এবং সংঘবদ্ধ চক্র ৬ রাউন্ড দেশীয় অস্ত্রের ফায়ারও করে। উক্ত ঘটনায় আহত ব্যক্তি কক্সবাজার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা যায়। জানা যায়,রামুর গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বহুল আলোচিত কয়েক ব্যক্তি অবৈধ পন্থায় মায়ানমার হতে ২৪টি বার্মিজ গরু চোরাইপথে আনার সময় আকস্মিক আরেক দুষ্কৃতকারী দল গুলি করে ২৪টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করলে মুসল্লিরা বাহির হয়ে ১৫টি গরু উদ্ধার করে ফেরত দেয় এবং এর কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ি থেকে পুলিশ যায়। উক্ত ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহত ব্যক্তি বালুবাসার মৃত.আব্দু রশিদের পুত্র মো.মাহাবুবুল আলম(৩৫)। আহত ব্যক্তিকে প্রথমে নাইক্ষ্যছড়ি সদর হাসপাতালে প্রার্থমিক চিকিৎসা করান। অবস্থা খারাপ হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা যায় । আরও জানা যায়,মায়ানমারের গরু নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। কচ্ছপিয়ায় দুই দল গরু ব্যবসায়ীর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ির মানুষও উৎকণ্ঠায় আছে। কখন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তেও এধরনের বড় সংঘাত ঘটবে। কারণ,গরুগুলো বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে রামু উপজেলা দিয়ে পাচার হচ্ছে দেদারচ্ছে। যে ঘটনাগুলো শুরু হয়েছে,এর দায়ভার কে নিবে? উপজেলা প্রশাসন, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, গরু ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান-মেম্বার নাকি চোরাকারবারীরা? এসব প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের। তবে, নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রশাসন সর্ব ভূমিকা পালন করলেও রামু প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।