কাপ্তাই প্রতিনিধি |
প্রচন্ড খড়াতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। বৃষ্টি না হওয়ায় হ্রদের পানির স্থর তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। ফলে পানির উপর নির্ভরশীল রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে (কপাবিকে) ৫ টি ইউনিট হতে শুধুমাত্র ১টি ইউনিট দিয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
বুধবার (১৪ মে) বেলা ১২ টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, এই কেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট একযোগে সচল থাকলে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। কিন্তু পানি স্বল্পতায় বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৫ টি ইউনিট এর মধ্যে শুধুমাত্র ১ নং ইউনিট দিয়ে ৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরোও জানান, বর্তমানে লেকে পানি রয়েছে ৭৭ দশমিক ৬১ মীনস সি লেভেল (এমএসএল), কিন্তু রুলকার্ভ অনুযায়ী এই সময় পানি থাকার কথা ৭৯ দশমিক ৫৩ এমএসএল। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে সামনে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হলে লেকের পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে। কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি লেকের ওপর নির্ভরশীল মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষ করে লেকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ উপজেলা বিলাইছড়ি, বরকল, জুড়াছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি উপজেলার নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লেকের বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা চরে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি লেকের বেশ কিছু অংশে পলি জমায়, দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট।ফলে লেকের উপর নৌ চলাচলসহ ব্যবসায় জড়িত হাজারো লোকের কর্মহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।