খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি |
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘটিত ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়াসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে আরো একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১শত ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৯০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এদিয়ে সংঘটিত ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলায় বিএনপির প্রায় ১৭শত বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করা হলো। বুধবার (৩০ আগষ্ট) রাতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর উল্লেখযোগ্য আসামীরা হচ্ছে, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার, সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, বেলাল হোসেন,যুগ্ন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, আবু তালেব, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল আলম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পারদর্শী বড়ুয়া। মামলায় নুরুল আজম আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীরা তার উপর হামলার চালানোর অভিযোগ আনেন এবং তিনি চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার অভিযোগ, ১ লা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী বানচাল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুরো জেলায় প্রত্যেক বিএনপির নেতাকর্মীর বাড়ী-ঘরে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই খাগড়াছড়িতে আ.লীগ ও বিএনপি অফিসে পাল্টা-পাল্টি হামলাসহ দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপের ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত ৫০ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ,আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার পক্ষ থেকে পৃথক চারটি মামলায় সাড়ে ৫ শতাধিক শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত দেড় হাজার নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। তবে এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় মামলা গ্রহণ না করায় আদালতের মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন এডভোকেট বেদারুল ইসলাম।
এদিকে গত ৭ আগস্ট খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া ও সাধারন সম্পাদক এম এন আবছারসহ ৫৩১ জন নেতাকর্মীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান মামলা দায়ের করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সূত্র-পার্বত্যনিউজ