1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে বন উজাড়ের হিড়িক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য অঞ্চলে মূলত চার শ্রেণির বন রয়েছে। সংরক্ষিত, রক্ষিত, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও অশ্রেণিভুক্ত। এর মধ্যে অধিকাংশ সংরক্ষিত ও অশ্রেণিভুক্ত বন নির্বিচারে উজাড়ের হিড়িক পড়েছে। বন বিভাগের বিশেষ নজরদারিতেও থামছে না বনখেকোদের দৌরাত্ম্য।

পাহাড় থেকে গাছ কেটে নেয়া হয় ইটভাটা, তামাক চুল্লি ও করাতকলসহ বিভিন্ন জায়গায়। সাধারণত পার্বত্য চট্টগ্রামে গাছ কাটতে হলে সরকারিভাবে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু নজরদারি ও তদারকির অভাবে বিনা অনুমতিতে বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনখেকোরা।

সম্প্রতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ওপর বন বিভাগ বিশেষ নজরদারি বাড়ালেও একেবারেই অরক্ষিত অশ্রেণিভুক্ত বনাঞ্চল। এসব বনাঞ্চল নিয়ে এখনো কোনো জরিপ হয়নি। এসব পাহাড়ের খাসজমিতে প্রাকৃতিকভাবে যে বনাঞ্চল গড়ে ওঠে তা অশ্রেণিভুক্ত বনাঞ্চলের আওতাভুক্ত।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় গড়ে উঠেছে অন্তত ৩৬টি ইটের ভাটা। এর একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। প্রতিবছর জেলায় অক্টোবর মাসে ইটভাটাগুলোর কাজ শুরু হয় এবং তা চলে মে-জুন পর্যন্ত। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ইটভাটায় ১২-১৩ রাউন্ড ইট পোড়ানো হয়। প্রত্যেক রাউন্ডে সাত-আট লাখ ইট পোড়ে। আর প্রত্যেক ইটভাটায় বছরে গড়ে এক কোটি ইট তৈরি হয়। জেলার সব ভাটায় বছরে প্রায় ৩৬ কোটি ইট তৈরি হয়, এর বাজারমূল্য প্রায় ২৫২ থেকে ৩২৪ কোটি টাকা (প্রতি হাজার গড়ে ৭-৯ হাজার টাকা দরে)।

ইটভাটার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি রাউন্ড ইট পোড়াতে প্রায় ৮-৯ হাজার মণ জ্বালানি কাঠ লাগে এবং এক মৌসুমে একটি ইটভাটায় গড়ে কাঠ পোড়ে প্রায় এক লাখ মণ। সে হিসাবে ৩৬ ইটভাটায় বছরে কমপক্ষে ৩৬ লাখ মণ কাঠ পুড়ছে।

এ ছাড়া জেলার আনাচকানাচে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক করাতকল। যার অর্ধেকেরই বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এসব অবৈধ করাতকলের মালিকানায় রয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক দলের প্রভাবশালী নেতারা।

বন ও পরিবেশ আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপনের কোনো নিয়ম না থাকলেও এসবের তোয়াক্কা করে না বনখেকোরা। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘিরেই অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করে দিনরাতে কাটা হচ্ছে সংরক্ষিত বনের কাঠ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট