জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্হ ফুলছড়ি রেঞ্জাধিন মেদাকচ্ছপিয়া ও খুটাখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে করা টংঘর,বনায়নের মধ্যে রাত-দিন ২৪ঘন্টায় প্রকাশ্যদিবালোকে চলছে মদ,গাঁজা,ইয়াবা ও জোয়ার জমজমাট আসর।
স্হানীয়দের অভিযোগে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,খুটাখালীর ৪নং ওয়ার্ডস্হ মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের শতবর্ষী মাদারট্রি বনাঞ্চলের নলবুনিয়া লালমোরা,গর্জনতলীস্হ বীরমুক্তিযোদ্ধা বজল আহমদের বসতঘরে উত্তরে পাহাড়ি তলিতে আশরাফের টং,গর্জনতলী হয়ে যাওয়া পাতিজ্জা রাস্তার থ্রি-মূখে করা টংঘর ও ৬নং ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা সড়কের পাশে বনায়নে অনৈতিক কর্মকান্ড খোলা মেলাভাবে চলছে।স্থানগুলো পরিদর্শনকালে এমন দৃশ্য স্বচোখে দেখেছি।বনাঞ্চল থেকে টংঘর উচ্ছেদ আর বন পাহারা জোরদারের দাবি এলাকাবাসীর।
এবিষয়ে খুটাখালীর ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছৈয়দ হোসেন ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা শহীদ জানান,আমরা অনেকবার এসব আসরে হামলা চালিয়েছি।কিন্তু এলাকার মানুষ সচেতন নয় বলে তাদের সন্তানেরা নষ্ট হয়েছে।তবুও তারা মদ,জোয়া,গাঁজা,ইয়াবা বেচা-বিক্রির আসর জমাই।মেম্বার দুঃখ করে বলেন,আমি নিজেই বহুবার তাদেরকে তাড়িয়েছি।এক পর্যায়ে কূচক্রিলোকের প্ররোচনায় আমরা জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছে।এরপরও আমি চলা পথে সামনে পড়লে হামলা করে তাড়িয়ে দিই।তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নামপ্রকাশে অইচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান,বিষেশ করে সকাল ১০টা ও বিকেল ৫টার পর থেকে খুটাখালীর ৬,৫,৩,২ ও ৪নং ওয়ার্ড থেকে লোকের সমাগম হয়।তারা কাউকে পরোয়া করা না,প্রশাসনকেও তোয়াক্কা করে না বলে বনাঞ্চলের ভিতরে-ভিতরে বসে,টোংঘর জমজমাট মদ,গাঁজা,ইয়াবা ও জোয়ার আসর চলছে।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন,অবৈধ চলা চিহ্নিত স্থানগুলো থেকে মদ,গাঁজা,ইয়াবা সেবন ও বিক্রেতা এবং জোয়ার আসর থেকে জোয়াড়ি ধরতে গোপনে এলাকার সচেতন মহল যদি আমাকে ইনফরমেশন দেন।তাহলে আমি অভিযান করেই তাদেরকে ধরে নিয়েই এসে আইনগত ব্যবস্থা নিব।এখন পুলিশ গেলে যদি তারা জেনে যায়।তাহলে কাউকেতো ধরা যায় না।স্হানীয় পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার,চৌকিদার ও সচেতন মহলের সহযোগিতা চান একর্মকর্তা ।