1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ৩০০নং আসনে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে লামায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ফের সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত দু’জন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় মানবিক ফাউন্ডেশন লামায় এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা সামগ্রী সেলাই মেশিন প্রদান আলীকদমে মাতামুহুরি নদী থেকে লাশ উদ্ধার  লামায় এনসিপি’র উদ্যোগে আন্ত উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্ভোধন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আলীকদমে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা লামায় কোমর পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে, ব্রীজের দাবী এলাকাবাসীর লামার মিরিন্জা ভ্যালীতে আগুনে পুড়ে গেল জুৃম ঘর লামায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংষ্কার করলেন টমটম মালিক ও চালকরা সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, নিহত ৪ বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে লামায় সড়কে গাড়ি উল্টে চালক নিহত লামায় হাজার হাজার নারী পুরুষের প্রতিরোধের মুখে ইটভাটায় অভিযান চালাতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানি দল

গুইমারায় ভূমিহীনদের খোঁজে গ্রামে গ্রামে ইউএনও

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

গুইমারা প্রতিনিধি।

ভূমিহীনদের খোঁজে অভিনব কৌশলে গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন ইউএনও রক্তিম চৌধুরী। এসব এলাকার বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি, বাড়িতো নয় পাখির বাসা, ছন পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিতে তালিকা বাছাইয়ে চমকপ্রদ এমন একটি পন্থা অবলম্বন করেছেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

preview

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্প্রতি বার বিকালে পাহাড়ের এ পাড় থেকে ওই পাহাড়ে ছুটে খুঁজে বের করেছেন বেশকিছু অসহায়, হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার। রীতিমত তার এ কার্যক্রমটি সঙ্গে থাকা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অভিভূত হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের শুরুতে এসব অসহায় পরিবারগুলো বাদ পড়েছিলো। তিনি মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গুইমারা উপজেলায়। দিনের দাপ্তরিক কাজ প্রায় সেরেই গুইমারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা ও ওয়ার্ড মেম্বারকে নিয়ে বের হয়েছেন সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। লক্ষ একটাই যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গৃহহীনদের ঘর প্রদান করা। অবিরত সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটে চলেছেন সদর ইউনিয়নের কবুতকবুরছড়া, মুসলিমপাড়া,মু লিপাড়া, হাজাপাড়া, ডাক্তারটিলাসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের আনাচে-কানাচে। সূর্য অস্ত হয়ে গেছে, তবুও আপন গতিতে পাহাড়ের এ গ্রাম থেকে ওই গ্রামে খুজেঁছেন প্রকৃত গৃহহীনদের । বেশির ভাগ ঘর পাহাড়ের উপর।যার কারণে গাড়ি রেখে হেঁটেই যেতে হয়েছে বেশ পথ। এরই ভিতরে বেশকিছু ঘর যাচাই করেছেন। প্রতিটি ঘরের ভিতর ঢুকে অসহায় পরিবার গুলোর সাথে কথা বলেছেন, নিয়েছেন তাদের প্রত্যহিক জীবন-যাপনের খোজঁ। যাকে অভিজ্ঞতা বলা যেতে পারে। তুষ্টি মন আর হাসি মাখা মুখে কথা বলেছেন শিশুদের সাথে । খোঁজ নিয়েছেন শিশুদের লেখাপড়া ও বিদ্যালয়ের। ইউএনওর সাথে কথা বলে শিশুরা বেশ আনন্দিত। তার এই ছুটে চলা যেনো ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের আশ্রয়ের নির্ভরতা বহন করেছে।

মনে হয়েছে এটা একটা বিরাট মানবিক কর্মযজ্ঞ, তরু চাকমার একই পরিবারে দুইজন প্রতিবন্ধী রয়েছে । তার কুড়েঁ ঘর আর প্রতিবন্ধী সন্তানদের দেখলেন ইউএনও। কথা বলার ফাঁকে ঘরের অবস্থা কেমন, ভাঙা ঘরে ঢুকে দুপুর বেলায় কি রান্না হয়েছে ঢাকনা তুলে পাতিল দেখা, সাংসারিক জিনিসপত্র কি আছে, সবমিলিয়ে দারিদ্রতটা কেমন, ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে সংসারে সদস্য কয়জন, লেখাপড়া করে কিনা, আয় কি, বয়স্ক লোক কেমনঅসুস্থতায় ভুগছে কিনা, এমনকি পরিবারের প্রধান কি করে এমন তথ্যগুলো সুন্দর আচারণের মাধ্যমে একজন পেশাদার সাংবাদিকের মত বের করে নিয়েছেন তিনি।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় । দুই কক্ষবিশিষ্ট গৃহ, প্রশস্ত বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে এ ঘরে। এঘর পেতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। বিষয়টি বার বার সাধারণ মানুষকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।তিনি আরো বলেন, সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প হতে পারে সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার ও অনন্য দৃষ্টান্ত ।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহায়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, শিক্ষা, পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে। একটি গৃহ কিভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের এই নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সবশেষে তিনি সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলোর চিত্র দেখে একটি আশ্রয়নের শিবির করার অভিলাষ ব্যক্ত করে বলেন, এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষই ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প এর ঘর পাওয়ার দাবিদার। ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিবন্ধী পরিবার প্রধান তরু চাকমা বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার ছেলে-মেয়ে দুটি প্রতিবন্ধী। বৃষ্টি পড়লে পানি পড়ে । গতবার তুফানে আমার ঘর ভেঙ্গে গেছিলো। পাড়ার কার্ববারিও কোন সময়ে ঢুকে দেখে নাই। আমার ঘরে ইউএনও ঢুকে সব দেখে গেলো। আমি ঘর পাইলেও খুশি না পাইলেও জীবনে কোন দু:খ নাই।

বৃদ্ধ ভ্যান চালক নারায়ন ধর জানান, ভ্যান গাড়ি চালাই জীবন শেষ। পাচঁটি ছেলে-মেয়ে নিয়ে এমন ঘরে থাকি। কখনো কেউ ঘরে ঢুকে দেকেনা। এবার ইউএনও আমার ঘরে ঢুকে দেখলো। এরকম ইউএনও তো আগে দেখিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট