মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ
এম এস এস (সমাজকল্যাণ) ঢা:বি
এম এস এস (মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচার) জগ:বি:
বি,কম, (অনার্স) এম, কম, (ব্যবস্থপনা) জাবি
সহকারী পরিচালক
সমাজসেবা অধিদফতর
বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম।
—————————————————————————————————————————————–
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। স্বাধীনতা জাতির ঐতিহাসিক ও গর্বিত অর্জন। এ অনন্য অর্জন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব এবং লক্ষ শহীদের আতœত্যাগের বিনিময়ে। শহীদ আব্দুল হামিদ স্বাধীনতার যুদ্ধে আতœ উৎসর্গকারী এক মহান বীর। যে বীর মুক্তির আকুতি ও স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন বীরত্বের সাথে এবং দেশের তরে বিসর্জন দিয়েছে জীবন। তিঁনিই বীর মুক্তিযুদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ। শিশুকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির পর হতে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনেছি শত বার। কক্সবাজার- বান্দরবান সীমানাবর্তী বমু-বিলছড়ি নামক প্রাকৃতিক অপরূপ শোভামন্ডিত এক রপসী গ্রামে এ মহান বীরের জন্ম। এ গ্রাম মাতামুহুরী নদীর আঁকা-বাঁকা তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে। নদী-পাহাড়-পর্বত ঘেরা নিভৃত্যের শ্যমল লোকালয়ের জন্মগ্রহণকারী তরুণের দীপ্ত অঙ্গীকার স্বাধীন বাংলাদেশ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ দেশ ও জাতির গর্ব। সময়ের প্রয়োজনে বীরত্বের এক অনন্য স্মারক । ১৯৫০ সালের ৪ মার্চ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শহীদ আব্দুল হামিদের জন্ম। পিতার নাম মরহুম মাস্টার আব্দুল ফাত্তাহ ও মাতার নাম প্রয়াত গুলফরাজ খাতুন। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু বিলছড়ি সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তির মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিঁনি চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং এস.এস.সি. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি চট্টগামস্থ সরকারী কমার্স কলেজে ভর্তি হন এবং এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় দশম স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি একই কলেজে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন। স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ গ্রহণের জন্য তিনি চুড়ান্ত সম্মান পরীক্ষার কয়েকটি পত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গড় নিয়মে ফলাফল ঘোষণা করা হলে তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তিঁনি ৬৯-এর গণ আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৮-৬৯ মেয়াদে সরকারী বাণিজ্য কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি মনোনীত হন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের সংলগ্ন গ্রামেই আমার জন্ম। এ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে আছে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক। শৈশবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ‘আব্দুল হামিদ’ নামক এক বীরের কথা শিক্ষকমন্ডলী ও সহপাঠির নিকট হতে শুনেছি বারে বারে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যার অবদান অনন্য। জাতীয় দিবসসমূহ একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬ শে মার্চ প্রতিক্ষেত্রে স্কুলের পক্ষ হতে এ বীরকে স্মরণ করা হতো। বিশেষ আয়োজনে বীরের সমাধিতে গভীর শ্রদ্ধার সহিত পুষ্পঅর্গ প্রদান করা হত। এ হলো কোন মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার শৈশবের এক অনন্য ম্মৃতি। স্বাধীন বাংলার নাগরিক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ আমার কাছে কল্পনার বীর। এ বীর গ্রাম বাংলার অহংকার এবং গৌরবময় মুক্তিযোদ্ধের কিংবদন্তী। এ দেশ প্রেমিক আমার নিকট অনন্য শক্তির আধার ও প্রেরণার উৎস।
১৯৭১ বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক ক্ষণ। বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠে অধিকার বঞ্চিত সমগ্র জাতি। বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ মুক্তির সংগ্রামের ডাক দিলেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তক্রমে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পূর্বে গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারত গমণ করেন। সহ গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহীতাদের বয়ান মতে ১৯৭১ সালের মে মাসে প্রায় ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। প্রায় ৩০ জন তরুণ ৮-১০ দিন পায়ে হেঁটে থানছি সংলগ্ন ভারতের ফারুয়া সীমান্ত চৌকি দিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পৌঁছান। গেরিলা দলকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নিযুক্ত লামা পোপা পাড়া নিবাসী চাইয়াং মুরং (¤্রাে))। গেরিলা দল এ রাজ্যের দেমাগ্রী গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে (জুন-জুলই) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ৫(পাঁচ) টি গ্রুপে বিভক্ত করেন এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে দেন। ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গেরিলা দল দেশে ফিরে আসেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ ৫ নং গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে দেশে ফিরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত গেরিলা দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। গেরিলা দলের সদস্যগণ হলেন চকরিয়া উপজেলার নজির আহাম্মদ, জহিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জয়নাল আবেদিন, মোহাম্মদ মুছা ও লামা পোস্ট মাস্টারের ছেলে মুছা। আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে গেরিলা দল চকরিয়া, লামা ও আলীকদম এলাকায় গেরিলা অভিযান পরিচালনা করেন। (তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা-কক্সবাজার, বাংলা একাডেমি)
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের বহি:প্রকাশ ঘটে রণাঙ্গনে। দেশে ফিরে আব্দুল হামিদ গেরিলা পরিকল্পনা শুরু করেন। বান্দরবান জেলাধীন লামা থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করা হলো। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি গেরিলা কমান্ডার আব্দুল হামিদ ও সামরিক কমান্ডার ক্যাপ্টেন সুবহানের নেতৃত্বে লামা থানা আক্রমণ করা হয়। উল্লেখ্য ক্যাপ্টেন সুবহানের নেতৃত্বে সেপ্টেম্বর মাসে লামা থানা হতে ২৫ কি:মি: দূরবর্তী ত্রিশডেবা মুরং পাড়ায় মুক্তিযুদ্ধে সামরিক ক্যাম্প স্থাপন করা হয় এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে থানায় অবস্থানরত পুলিশ বাহিনী আতœসমর্পন করেন। কিন্তু রাজকার বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে রাজাকার কমান্ডার আব্দুর রহমান নিহত হয়।এ সফল গেরিলা অপারেশনে মুক্তিযোদ্ধারা লামা থানা হতে মোট ৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র (যার মধ্যে ৩৭টি ত্রি-নট-ত্রি রাইফেল ও ৫টি এসবিবিএল গান) এবং ৩৭০০ রাউন্ড/৪৫০০০ গুলি লুট করে। এ সফল গেরিলা অপারেশনে অপরিসীম ক্ষতিতে পাক-হানাদার বাহিনী থানার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য বার্মার বিদ্রোহী বাহিনী ‘রোহিঙ্গা সলিসিডারিটি অর্গেনাইজেশন(জঝঙ) এর সহায়তা গ্রহণ করে। এ বাহিনী স্থানীয়ভাবে ফুরুক্কা বাহিনী নামে পরিচিত ছিল। এ বাহিনী ছদ্দবেশ ধারণ করে এবং স্থানীয় নিকট জনদের সহায়তায় আব্দুল হামিদে অবস্থান শনাক্ত করে। ১৯৭১ সালের ৩ নভেম্বর রাতে ফুরুক্কা বাহিনীর সাথে ধৃত হন।
শহীদ আব্দুল হামিদ এক নির্ভীক বীরের অনন্য দৃষ্টান্ত। নিভৃত্যের এ মহান বীরের স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন, মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশ। জীবন বাজি রেখেই তাঁর যুদ্ধ যাত্রা। জাতীয় প্রয়োজনে জীবনের শংকা যুদ্ধ অংশগ্রহণে তাঁকে নিভৃত্য করতে পারেনি। বরং তিনি অসীম সাহফহকিতার সহিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। শত্রুবাহিনীর নিকট ধৃত হওয়ার পর শুরু হয় তার উপর নির্মম অত্যাচার। তৎকালীন লামা থানার নিকটস্থ চম্পাতলী সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে এনে বিভৎস অত্যাচার করা হয়। সেখান থেকে একদিন পর কক্সবাজার সার্কিট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে সেখানে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ কওে রাখা হয়। রাত একটার দিকে শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। ছাদের রড়ের সাথে বেঁধে মাথা নিচের দিকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাস করা হয়েছিল সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সম্পর্কে। আব্দুল হামিদ থাকতেন নির্বিকার। শুধু বলতেন “জয় বাংলা, এদেশ একদিন স্বাধীন হবেই”
বৈচিত্রময় আমার শৈশব ও কৈশোর। সৌভাগ্য আমার। গত শতাব্দীর ৮০’র দশকে মাধ্যমিক শিক্ষার শুরু ও কৈশোরের প্ররম্ভেপারিবারিক সিদ্ধান্তক্রমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রকৃতির শোভামন্ডিত লোকালয় ত্যাগ করি। গন্তব্য ছিল শিল্পাঞ্চল গাজীপুর যেখানে বড় আপা স্বপরিবাওে অবস্থান করতো। এখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে বেশী শোনা যায় দেশের প্রথম সশ¯্র বিদ্রোহের কথা। এ জেলার জয়দেবপুর ছিল স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ সংগ্রামের ঐতিতহাসিক ক্ষেত্র। মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অস্ত্রের মজুদ কমে যায়। ১৯ মার্চ গোলা-বারুদ সংগ্রহ ও বাঙ্গালী সেনাদের নিরস্ত্র করার জন্য বিগ্রেডিয়ার জাহান জেব ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হতে জয়দেবপুস্থ দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সংবাদটি জানাজানি হলে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে শ্রমিক, জনতা ও সর্বস্তরের মানুষ।পাক সেনাবাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন কিশোর নিয়ামত, মনু ফকির, হুরমত আলী ও কানুবীর। এখানে বিভিন্ন দিবসে এসব বীর শহীদের কথা শুনতে পাই বার বার। তাছাড়াস্কুল সহপাঠি কামরুন নাহারের কাছে শুনতে পাই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন অহামদের কথা যিনি সম্পর্কে তার নানা হন। এখানে শুনা যায় ভাষা সৈনিক আবুল বরকতের কথা। যিঁনি গাজীপুরের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত। এ সব বীরের স্মৃতি সংরক্ষণে এখানে ভাষ্কর্য, সড়ক, প্রতিষ্ঠান ও অডিটরিয়াম নামকরণ করা হয়েছে।
স্বাধীনতা জাতির এক অনন্য গর্বিত অর্জন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের কল্যাণে সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অনুদান, আবাসন সুবিধা প্রদান করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতি বছর জাতীয় দিবসসমূহে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। আমার কর্মময় জীবনের অহংকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে দীর্ঘ একযুগ বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এ সুবাধে বান্দরবান ও কক্সবাজর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা লাভ করার সুযোগ পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ গল্প শুনেছি গেরিলা যুদ্ধাদের মুখে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কর্মকালীন ২০০৭ সালের কথা। শহীদ আব্দুল হামিদের মৃত্যুর রহস্য এবং কে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ বক্তব্য রাখলেন তৎকালীন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক। আমার কল্পনার বীর শহীদ আব্দল হামিদে কথা শুনে আবেগাপ্লুত হলাম। জানতে পারলাম স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধের অনেক অজানা রহস্য।
শহীদ আব্দল হামিদ এক মুত্যুঞ্জয়ী মহান বীর। স্বাধীনতাত্তোর নাগরিকের নিকট বীরত্বের দৃষ্টান্তএবং অনন্য পথিকৃৎ। যে বীরের স্বপ্ন ছিল জীবনের বিনিময়ে স্বদেশ। নিভৃত্যের এ বীরের বাসনা ছিল প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা। এ বীর প্রিয় মাতৃভূমির মান রক্ষা করেছে আতœহুতির বিনিময়ে। এ মহান বীরের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সরকারের নিকট দাবী কিছু করছি। যথা: ১ আব্দুল হামিদ সড়ক নামকরণ করা হোক (জিদ্দাবাজার টু ইয়াংছা সড়ক)। ২. বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নের নাম বীরনগর বা শহীদ আব্দুল হামিদ নগর করা। ৩. চকরিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষের নাম শহীদ আব্দুল হামিদ মিলনায়েতন করা।৪. কক্সবাজার জেলা শহরে শহীদ আব্দুল হামিদের নামে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান নামকরণ করা। সময়ের প্রয়োজনে আতœত্যাগী এ মহান বীরের স্মৃতি অম্লান হোক। এ মুক্তিযোদ্ধার জীবন দর্শন দেশের তরে জীবন উৎসর্গ। এ মহান বীরের স্বপ্ন দর্শন হোক প্রজন্মের অঙ্গীকার।