1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি গঠন থানচিতে খেয়াং নারী হত্যার প্রতিবাদে লামায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ আলীকদমে জাল সনদ তৈরির দায়ে ফটোকপি দোকান সিলগালা, ২০ হাজার টাকা জরিমানা লামায় জব্দকৃত বালুর নিলাম বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রসাশক বরাবরে আবেদন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ পরিবেশ অধিদপ্তরের থামচিতে এক নারীর লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত বৃদ্ধ লামায় টমটমের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী

চট্টগ্রামে তারে ‘হুক লাগিয়ে’ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, টোকেনে বিল আদায়!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৭২ বার পড়া হয়েছে

মনিরুল ইসলাম মুন্না

নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়েছে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা। বিশেষ কায়দায় বিদ্যুতের মূল খুঁটির সঙ্গে অবৈধভাবে হুক লাগিয়ে চুরি করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। এর পেছনে রয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কতিপয় লাইনম্যান ও কর্মচারী। এরা স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে নিজস্ব টোকেনের মাধ্যমে আদায় করেন এসব অবৈধ সংযোগের বিদ্যুৎ বিল। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। পাশাপাশি প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশ, ঘনবসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগে নিষেধাজ্ঞা এবং অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও বিদ্যুৎ বিভাগকে ম্যানেজ করে কয়েকদিন পর আবার সচল হয়ে যায়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে নগরীর আকবরশাহ এলাকার প্রায় আড়াই হাজার বসতঘরে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে প্রকাশ্যেই চুরি করছে বিদ্যুৎ। জানা গেছে, এসব অবৈধ সংযোগের পেছনে রয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আকবরশাহ থানাধীন নিউ শহীদ লেন বিহারি কলোনি, পাঞ্জাবি লেন, মসজিদের পাশের গলি ও স্কুল গলি মিলে প্রায় দুই হাজার বসতঘরে চক্রটি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, এই এলাকায় ‘রাকিব ও ঐশি ইলেকট্রিক পানি ও বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ’ নামে একটি সমিতি রয়েছে। এই সমিতির নামে রয়েছে মাসিক ভাড়ার বইও। প্রতিটি বাসায় লাইট ও পাখা ব্যবহারের ওপর বিল দিতে হয় সদস্যদের। একটি লাইট ও পাখা চালালে দিতে হয় মাসে ছয়শ’ টাকা। আর বাড়তি লাইট বা পাখা চালালে প্রতি প্রতি মাসে গুণতে হয় নয়শ’ টাকা। এভাবে প্রায় আড়াই হাজার ঘর থেকে সর্বনি¤œ ছয়শ’ টাকা করে আদায় করলে মাসিক চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ লাখ টাকা। এই চাঁদার ভাগ পায় স্থানীয় সিন্ডিকেট, লাইনম্যানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুরো শহীদ লেন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে পাঞ্জাবি লেন আনোয়ার ও ছোটন, বিহারি কলোনি চাঁন মিয়ার ছেলে শাহজাহান, নিউ শহীদ লেন মসজিদের পাশের গলি মো. কাশেম, স্কুল গলি মো. ওয়াসিম এবং মধ্যম গলি মহিদুল ও মনিরুল নিয়ন্ত্রণ করে। আর এসব টাকা থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগকে ম্যানেজ করা হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রতি সপ্তাহে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে পাঞ্জাবি লেনের কালিবাড়ির মুখ থেকে খুলশী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের লাইনম্যান শাহ কামাল ও রনজিত এসে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে যান। এছাড়াও এ দুইজন লাইনম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযানে আসার খবর এলাকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ফয়েজুল্লাহ ফজলুকে কল দিয়ে জানালে তিনি দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে অভিযান শেষ হলে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চলতে থাকে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের মিটার থেকে বাইপাস লাইনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে পিডিবি’র লাইনম্যান।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিহারি কলোনির এক বাসিন্দা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে হুক দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে আসছে এই সিন্ডিকেটটি। যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ চুরির সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্য পাঞ্জাবি লেনের নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি গত একমাস ধরে এলাকা ছেড়ে কুমিল্লায় অবস্থান করছি। আগে বিদ্যুৎ চুরি করলেও এখন ওসবে নেই। আমার ছোট ভাই ছোটনও এসবের মধ্যে নেই। সে এখন সিডিএ মার্কেটে কাজ করে। আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বলবো।’ অপর সিন্ডিকেট সদস্য মসজিদ গলির পাশে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী মো. কাশেম পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি আগে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলাম। সে সুবাধে আশপাশে পানি ও বিদ্যুতের লাইন দিতাম। এখন কোনো লাইনের নিয়ন্ত্রণে নেই’ বলে ফোন কেটে দেন। এক ঘণ্টা পর পুনরায় কল দিয়ে বলেন, ‘ভাইজান, আমি আপনার কথা তখন বুঝতে পারিনি। আমার সামনে আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছেন। উনার সাথে একটু কথা বলেন।’ যোগাযোগ করা হলে খুলশী বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান শাহ কামাল পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি ওখান থেকে টাকা তুলি না। আমাদের আরেকটা গ্রæপ তুলে। আপনি চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে খুলশী জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এফ.এম নুর উদ্দীন আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম পূর্বদেশকে বলেন, ‘রেলওয়ে কলোনির একটি সিঙ্গেল লাইন মিটারিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির একটা অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আগামী শনি বা রবিবারে বড় একটা অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’ বিদ্যুৎ চুরির সাথে লাইনম্যান জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বাণিজ্যের সাথে আমাদের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি।’ সূত্র-দৈনিক  পূর্বদেশ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট