চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |
চট্টগ্রামের রাউজানে পাওনাদারের বাড়িতে দেনাদারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মো. ইদ্রিস (৫০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে কর্ণফুলী উপজেলার আলতি নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. ইদ্রিস রাউজানের মোকামিপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। মৃত কাজী দিদারুল আলমের (৫৫) বাড়িও একই এলাকায়।
পাওনা টাকা ফেরত দিতে না পারায় ওই ব্যক্তিকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার সারাবাংলাকে জানান, দিদারুল আলম বিদেশ থেকে এসে ব্যবসা শুরু করে ক্ষতির সম্মুখীন হলে অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার নেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন মো. ইদ্রিস ও মো. ইউনুছ। তারা ভিকটিমকে পাওনা টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে না হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২০২১ সালে প্রায় ১০ লাখ টাকা পাওনা দাবিতে দিদারুলের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করেন ইউনুছ ও ইদ্রিস। মামলার আসামি হওয়ার পর পরিবার নিয়ে গ্রাম ছাড়েন তিনি।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার (১৩ মে) সকালে নোয়াপাড়া বাজারে দিদারুলকে দেখে আটকে ফেলে তারা। এরপর তাকে ইউনুসের বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে টানা চারদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে তারা ভিকটিমকে ‘পাওনা টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আত্মহত্যা করছ না কেন’ এই বলে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার(১৬ মে) দিদার তার ভাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে বলে ইউনুছ ও তার পরিবারের সদস্যদের নোয়াপাড়ায় পাঠিয়ে গলায় গামছা দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে রাউজান থানায় চার জনের নাম উল্লেখ ও ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করে। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে ইদ্রিসকে কর্ণফুলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।