1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় অবৈধ ২ ইট ভাটা উচ্ছেদ আলীকদম সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে লামায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন লামায়  নদী ভাঙ্গনে বিলীন মেরাখোলার ৫০০ ঘরবাড়ি মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান সড়ক ও ২০০ একর ফসলি জমি : অর্ধশত ঘরবাড়ি ও শতশত একর ফসলী জমি বিলিনের আশংকা, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্লক স্থাপনের দাবী ইউনিয়নবাসীর নাইক্ষ্যংছড়িতে নতুন সদস্য ও নবায়ন কর্মসূচী লামা তথ্য অফিসের উদ্যোগে আলীকদমে নারী সমাবেশ  ও জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী লামায় সিএইচসিপি এসোসিয়েশন’র নতুন সভাপতি জ্যোতিষ, সাধারণ সম্পাদক জুনাইদুল রক্তাক্ত ৩৬ জুলাই উপলক্ষে এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে জামায়াতের গণমিছিল অনুষ্ঠিত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সেবিকাসহ জনবল সংকট, সেবা বঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষ, দ্রুত জনবল সংকট নিরসনের দাবী উপজেলাবাসীর লামায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি আন্দোলনের বিজয় মিছিল আলীকদমে অপার নির্জনতার নাম ‘চেয়ারম্যান লেক’ আলীকদমে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিলেন চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব গোল্ডেন সিটি ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ‘২৫ অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে সম্প্রসারণ হচ্ছে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা  ডেস্ক |

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজে হাত দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে সরকারের ইচ্ছার মতোই সমানে কাজ করেছে জাপানের স্বার্থও। দুই দেশের স্বার্থ মিলেমিশে এক হলে উপকৃত হবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারের মানুষ। সে সঙ্গে সারাদেশের মানুষও এর উপকারভোগী হবেন। পর্যটননগরী কক্সবাজারে ভিড় বাড়বে দেশ-বিদেশের মানুষের। দুই ধাপে ১৫৯ কিলোটিমার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চার লেনে বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা। পুরো কাজের তদারকি করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

চলতি মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এটি দুই ধাপে বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে তিনটি বাইপাস, একটি আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের উড়াল সড়ক এবং পটিয়ার সীমানার পুরো সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে। তিনটি বাইপাসের মধ্যে আছে দোহাজারী, আমিরাবাদ ও চকরিয়া। দোহাজারী বাইপাস করতে গিয়ে বর্তমান শঙ্খ নদীর ভাটির দিকে আরও একটি ছয় লেনের সেতু নির্মাণ করা হবে। আবার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতেও দুই লেনের একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। ওই সড়ক ও সেতুটি সরাসরি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।

কেরানীহাটে একটি আড়াই কিলোমিটারের উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ করা হবে যেটি শুরু হবে দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইনের আগে থেকে।

প্রকল্পের এই ধাপে সম্ভব্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা যার পুরোটাই জাইকা দেবে। দ্বিতীয় ধাপে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে ৯৫ কিলোমিটার সড়ক। তা-ও চার লেনে উন্নীত করা হবে, যথারীতি অর্থায়ন করবে জাইকা।

প্রকল্প পরিচালক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শ্যামল ভট্টাচার্য আমাদের সময়কে বলেন, জাইকার সঙ্গে আমাদের ঋণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এখন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এরপর পরামর্শক নিয়োগ থেকে অন্যান্য কাজ শুরু হবে। ইতিপূর্বে বুয়েটকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) হিসেবে এ সড়ক সম্প্রসারণের একটি কাজে বুয়েটকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রকল্পে ভিন্নতা এসেছে। আমরা প্রথম পর্যায়ে চারটি বাইপাস ও একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সাল নাগাদ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হতে পারে। এ বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে জাপান। মাতারবাড়ি বন্দরকে পুরোপুরি কার্যকর করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে সচল করার কোনো বিকল্প নেই। সেই চিন্তা থেকে জাপানই এগিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা দেনদরবার করেও তেমন ফল পায়নি বাংলাদেশ সরকার। জাপানের কাছেও সরকার একাধিকবার সড়কটি সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপানের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কৌশলগত দূরত্বের কারণে এক পর্যায়ে এমন শঙ্কা দেখা দেয় যে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে চার লেনে উন্নীত করা ছাড়া অন্য পথ নেই। এমন সময় জাপানই আগ্রহ দেখিয়ে দ্রুত এগিয়ে এসেছে। পুরো প্রক্রিয়া এমন দ্রুত এগিয়েছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এটির সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন হতে পারে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু হবে নির্বাচনের পর।

এর মধ্যে জাপান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যেখানে অতিরিক্ত বাঁক আছে সেগুলো চিহ্নিত করেছে। কারণ এসব বাঁকের কারণে বড় ও ভারী গাড়ি চলাচলে বেশ অসুবিধা হয়। বুয়েট এ সমস্যা চিহ্নিত করার পর জাপানও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর তা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান আমাদের সময়কে বলেন, আগামী অক্টোবর নাগাদ আশা করি একটি ভালো খবর আমরা জানাতে পারব। এখনই সব কথা বলছি না।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দেশের ব্যস্ততম সড়কের একটি। এটির বেশির ভাগ অংশের প্রশস্ততা ১৮ থেকে ৩৪ ফুট। ফলে দূরপাল্লার গাড়িগুলো নিজস্ব গতিতে চলতে পারে না। ১৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে একটি দ্রুতগতির বাসের সময় লাগে গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। অতিরিক্ত বাঁক, সাইড রোড থেকে হরহামেশা গাড়ি সড়কে উঠে আসার কারণে সড়কটি বাংলাদেশের অন্যতম দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে। নতুন প্রকল্পে সাইড সড়কগুলোর ওপর দিয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের কাজ ২০২৮ সালের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের অর্থাৎ অবশিষ্ট ৯৫ কিলোমিটার সড়কে চার লেনে সম্প্রসারণের কাজও শুরু হয়ে যাবে। সূত্র– আমাদেরসময়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট