ফুটপাতে পণ্য সাজিয়ে হকাররা বসে জমজমাট বেচাকেনা করতেন। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন অপর্নাচরণ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় এর আশপাশ, আমতল, নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের চেনা চিত্র এটি। তবে চেনা এই চিত্র বদলে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে কোতোয়লী থানা পুলিশ হকারদের উচ্ছেদ করায় ফুটপাত ফিরে পেয়েছে পথচারীরা। স্বস্তিতে পথ চলছেন পথচারীরা। ফলে, ফুটপাতের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এসেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবীর বলছে, এই পরিবর্তনকে স্থায়ী রূপ দিয়ে তারা সক্রিয়। কিন্তু অভিযান শেষে আবারো ফুটপাতে হকার বসানোর চেষ্টা চলছে। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগেও কয়েকবার এসব এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে পরিবর্তন টেকেনি বেশি দিন। তাই এবারের পরিবর্তন কত দিন টেকে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের।
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পথচারীদের সঙ্গে হকারদের সামাজিক ও আর্থিক সম্পর্ক আছে। হকাররা নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের পণ্যের জোগান দেন। হকারদের পরিবারও এর আয় থেকে চলে। এ কারণে হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে। অন্যথায় হকাররা আবার ফুটপাতে বসে পড়বেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নুরুল বাশার এর নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানা এলাকার অপর্না চরন সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় এর আশপাশ, আমতল, নিউমার্কেট এলাকার অবৈধ হকার মুক্ত করা হয়। যাতে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, যানচলাচল স্বাভাবিক করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, নিউ মার্কেটের চারপাশে এক হাজারের বেশি হকার ছিলেন। তারা শামিয়ানা টানিয়ে ফুটপাতে বসতেন। এতে মার্কেটের মূল দোকান আড়ালে চলে যেত। এখন হকারদের উচ্ছেদ করায় পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। কিন্তু কতক্ষণ থাকবে জানি না। কাল থেকে আবারো ফুটপাত দখল করবে না, তার কোন গ্যারান্টি নেই।
জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত আরমান হোসেন বলেন, পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য হকারমুক্ত ফুটপাত দরকার। আবার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও হকারদের দরকার। তারা অল্প দামে কেনাকাটা করতে পারে। তিনি বলেন, হকারদের পুনর্বাসন করা অনেক কঠিন কাজ। এই কাজটা সহজভাবে করতে পারে সিটি কর্পোরেশন। আমরা শুধুমাত্র ফুটপাত পথচারীবান্ধব করতে পারি।