1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
চবি প্রতিনিধি ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১১ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন হিল বটম কলোনির পাশ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। পরে অজগরটি পাশের জঙ্গলে জনমানবহীন স্থানে অবমুক্ত করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি বার্মিজ পাইথন প্রজাতির সাপ। লম্বায় ১১ ফুট ও ওজন প্রায় ১৩ কেজি। সাপটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে বলে ধারণা করছি। আমরা সাপটি উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অজগর সাপ ধরা পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ রাখার একটি কেন্দ্র আছে। গত দশ বছরে অন্তত ২০টি অজগর সাপ ধরা পড়ার কথা জানান চবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণি গবেষক জোহরা মিলা জানান, বার্মিজ অজগর (Burmese python) সাধারণ অজগর (Rock Python) বা ময়াল সাপের চেয়ে তুলনামূলক ভারী। সুন্দরবনে এই প্রজাতির অজগরের আধিক্য বেশি। নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এই প্রজাতিটি একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাঁধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত ইঁদুর, ‍মুরগি, শূকর, শিয়ালসহ ছোট থেকে বড় আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণি, সরীসৃপ প্রাণি ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণি খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।তিনি আরো বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণিটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
সম্প্রতি অজগরের লোকালয়ে চলে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড় ও বন উজাড় হওয়ার কারণে সাপের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে তাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই খাবারের সন্ধানে সাপগুলো লোকালয়ে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট