আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর সাংস্কৃতিক, প্রাণকেন্দ্র খ্যাত নবনির্মিত প্রকল্প মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দৃশ্যমান হলো সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ‘চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি’। এই বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বই এবং তথ্যের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি নগরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, আগামী ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করতে চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে এদিন টানেল উদ্বোধনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান। যার মধ্যে চট্টগ্রামের বৃহৎ সাংস্কৃতিক প্রকল্প চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটিও উদ্বোধন করবেন তিনি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমন তথ্য নিশ্চিত করে গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সাজসজ্জার কাজও চলছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে একনেকে পাস হয় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প। ২৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় বরাদ্দও। বরাদ্দের পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকায়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ২০৭ কোটি ৭১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
প্রকল্পটির মধ্যে পুরনো মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে ফেলে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি গ্রন্থগার, ৮ তলা বিশিষ্ট মিলনায়তন ভবন ও একটি মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া রাস্তার এপার-ওপারকে সংযুক্ত করার জন্য করা হয়েছে টানেল আকৃতির পাবলিক প্লাজা, ওপেন এয়ার থিয়েটার, মিউজিয়াম। পাবলিক প্লাজার ওপর অংশেই নির্মাণ করা হয়েছে নতুন শহীদ মিনার। যা চট্টগ্রামের দৃষ্টিনন্দন স্থান হয়ে ওঠেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।এদিকে, পুনর্নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু পুরনো শহীদ মিনার ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজও ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের গত ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে ওই সময়ে পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর নতুন এ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শতভাগ প্রস্তুতির কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে শহীদ মিনারের কাজও পুরোপুরি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। আগামী ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাও নিবেদন করা সম্ভব হবে নতুনরূপে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
কাজের অগ্রগতি নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের শহীদ মিনার ও টানেলের অংশের কাজ শেষ। সেটি এখন দৃশ্যমান। পাশাপাশি মুসলিম ইনস্টিটিউটের প্রধান লাইব্রেরি ভবন থেকে শুরু মূল ভবনের কাজও শেষ। ইতোমধ্যে লাইব্রেরির কার্যক্রম চালু হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকল্পের ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু কাজ বাকি। তারমধ্যে এসি, রঙ, একেস্টিকে কাজ রয়েছে। এসব বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। যার জন্য একটু সময় লাগছে। যেকোন মুহূর্তেই তার কাজও শেষ হবে। তবে নতুনরূপে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে।’
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত