জিয়াউল হক জিয়া।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের,ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধিনে,চকরিয়া উপজেলাস্হ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের,ডুলাহাজারা বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে অবৈধভাবে আনা কালো পাথরের স্তুপ।সেখান থেকে পাথর পাচারের সঙ্গে বনাঞ্চলের গাছ কেটেও রাতের অন্ধকারে পাচার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বনাঞ্চলের এমন ধ্বংসাযজ্ঞ চালানো হলেও,নিরব বন-প্রশাসন,চকরিয়া,লামা,আলীকদম,সংরক্ষিত পার্বত্যাঞ্চলের নিরাপত্তা প্রহরী প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করার কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।বন সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব থাকা লামা,আলীকদম ও কক্সবাজার বনবিভাগের দায়িত্বশীলরাও নিরব দর্শক ভূমিকার সারিতে হাড়িঁ বসানোর মত সাড়া-শব্দহীন নিস্তব্ধ কেন?তাইতো বলি সরকারি বনসম্পদ রক্ষার জন্য কেউ নেই!
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,ডুলাহাজারা বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল পাগলির বিল নামক এলাকায় অবৈধভাবে আনা পাথরের স্তুপ দেখা যায়।সেখানে বড়-বড় কালো পাথর গুলো মেশিনের সাহায্য ভাঙ্গানো হচ্ছে।ভাঙ্গনকারী ব্যক্তিরা জানান,এসব পাথর আলীকদম এলাকা থেকে আনা হয়।এখানে রাখার মানে হচ্ছে ব্যবসায়ীরা ডুলাহাজারা বাসিন্দা। তাছাড়া ওখানে আর্মি ও বিজিবি প্রশাসন মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাথর গুলো জব্দ করে,শাস্তির আওতায় নিয়ে যান।তবে সেখানকার বনবিভাগ সহ উপজেলা প্রশাসন তেমন ডিষ্টাব করেনা।এখানেও বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনও নজর নেই।একদম র্নিভয়ে রেখে আরামছে ব্যবসা করা যায়।কিন্তু পাথর স্তুপের পাশ্ববর্তী বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে,এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেন না তারা।নিরবতা সম্মতির লক্ষণ।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মেহরাজ উদ্দিন বলেন,এসব পাথর আমি এখানে জয়েন্ট করার পূর্বে থেকে রেখেছেন।তবুও বনবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেখে,আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।কখন,কিভাবে উচ্ছেদ করা যায়।তাহাদের পরামর্শ মতে মাস,দেড়েক সময় কালক্ষেপন হলো পাথরগুলো জব্দ সহ চিরতরে উচ্ছেদের জন্য অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত