1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাইশারীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল আলীকদমে দিনব্যাপী পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে সুফিয়া এবতেদীয়া মাদরাসা নির্ম্মানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এ্যাডভোকেট এম, এ কালাম… লামা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি গঠন থানচিতে খেয়াং নারী হত্যার প্রতিবাদে লামায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ আলীকদমে জাল সনদ তৈরির দায়ে ফটোকপি দোকান সিলগালা, ২০ হাজার টাকা জরিমানা লামায় জব্দকৃত বালুর নিলাম বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রসাশক বরাবরে আবেদন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ পরিবেশ অধিদপ্তরের থামচিতে এক নারীর লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত বৃদ্ধ লামায় টমটমের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

থানচিতে সঞ্চালন লাইন থাকলেও বিদ্যুৎ নেই ৩ বছর

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
Oplus_131072
থানচি  প্রতিনিধি |

‌‍বিদ্যুতের খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার থাকলেও বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি তিনবছর। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নের ধীরগতি। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘরে এক নজরে তাকিয়ে রয়েছি কবে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। কথাগুলো বলছিলেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার ২ নম্বর তিন্দু ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তিন্দু গ্রোপিং পাড়া ও বাজারের শতাধিক পরিবার ও ব্যবসায়ী।

একই পাড়া ও বাজারের বাসিন্দা তিন্দু ইউপি মেম্বার ক্রানিংঅং মারমা বলেন, বান্দরবানে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নেপচুন খীসা গত বছর আমাদের পাড়া পরিদর্শনে আসেন। সেসময় তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই বাজার, পাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ, বিজিবি ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলে ও এখনও জ্বলেনা বিদ্যুৎতে আলো।

শতবছরে পুরোনো তিন্দু গ্রোপিং পাড়া ও তিন্দু বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিভাগের অর্থায়নে বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ট্রাস্ফরমার স্থাপন করা হয়েছিল।
একই সাথে থানচি সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাইন্দারী পাড়া, ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যামনি পাড়া স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সরকারি সংস্থা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা উল্লেখিত ২ পাড়া প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে তিন্দু বাজার ও গ্রোপিং পাড়া, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয, একটি বিজিবি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ের ঠিকাদার সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন কাজ সম্পাদন হয়েছে চূড়ান্ত হস্তান্তর করেননি এখনো।
ফলে তিন্দু গ্রোপিং পাড়া, তিন্দু বাজার, তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন্দু গ্রোপিং পাড়া বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিজিবি ক্যাম্পসহ সমূহের খুঁটি, সঞ্চালন লাইন, ট্রাস্ফরমার রয়েছে। ঘরে ঘরে মিটার ও সরবরাহ লাইন নেই। ফলে গত ৩ বছর ধরে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ ও আলো জ্বালানো থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

সরেজমিনে গেলে তিন্দু গ্রোপিং পাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একই পাড়ায় একটু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে বংড আরাংড়ং ছাত্রাবাসের প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও বিদ্যুৎ না পাওয়া গরমে ক্লাস করতে হচ্ছে।

তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উচসিং মারমা বলেন, বিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে গরমে কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষকরা জুম মিটিং, ল্যাপটপ চালানো, ইন্টারনেট ব্যবহারের অসম্ভব।

তিন্দু বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অংশৈথুই মারমা, মংসাইন মারমা বলেন, দুই বছর আগেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সোলার প্যানেল বিতরণের সময় বিদ্যুৎ দেবে বলে গ্রোপিং পাড়া, বাজার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদে সোলার প্যানেলের নামের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আমাদের প্রায় আড়াইশত পরিবার দোকান ব্যবসায়ীরা অন্ধকারে বসবাস করছি।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা ছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎতে আলো জ্বালানো হবে। সে ঘোষণা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বাস্তবায়নের সেভাবে কাজ করছেন না বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ ঘোষ বলেন, আমি নতুন আসছি থানচি উপজেলা যাওয়া হয়নি তাই বলা সম্ভব নয়।

তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, প্রকল্প বিভাগ হতে বিতরণ বিভাগকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ হস্তান্তর করা হয়নি এখনও। সুতারাং বিতরণ বিভাগের কোন কাজ নেই।যে সব এলাকা ট্রান্সফরমার রয়েছে সে সব স্থানে আমরা মিটার বিতরণ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সুযোগ করে দিয়েছি। থানচি উপজেলা দুই ইউনিয়নের বর্তমানে এক হাজারেও বেশী গ্রাহক আছে। মাসের প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্প বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বলেন, আমার বক্তব্য নিতে হলে থানচি থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করে বান্দরবান সদরে অফিসে আসুন তখন পাবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট