খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুইপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকর্মী (ইউপডিএফ, প্রসিত) শিমুল চাকমা (২৭)। ঘটনার সংবাদ পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ খোঁজে না পেয়ে সন্ধার পর ফেরত আসে। এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হন নিহতের স্ত্রী মিটেনা চাকমা (২৭)। এ সময় স্ত্রী মিটেনা চাকমা জানান, সন্ধার দিকে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে তাঁকে ফোন দিয়ে স্বামীর লাশ নিয়ে যেতে বলা হয়। এর পর তিনি গিয়ে স্বামীর লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। মিটেনার দাবি, আগে থেকে উঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাশেদুল আলম জানান, হাসপাতালে পৌছানোর অনেক আগেই শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বুকে, কোমড়ে ও হাতে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাটি উপজেলার দীঘিনালা ইউনিয়নের দূর্গম পুকুরঘাট এলাকায় ঘটেছে। নিহত শিমুল কবাখালি ইউনিয়নের কৃপাপুর গ্রামের দেবেন্দ্র চাকমার ছেলে।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ, প্রসিত) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু লাশ কেন পাওয়া যায়নি তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে থেকে লাশ সরিয়ে নেওয়া নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান চেয়ারম্যান।