সারসংক্ষেপ:
বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদমের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পর্যটক নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাটি এই অঞ্চলের উদীয়মান পর্যটন খাতে নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতার গুরুতর অভাব প্রকাশ করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় “ট্যুর এক্সপার্ট” নামক একটি ভ্রমণ গোষ্ঠীর মূল সংগঠক বর্ষা ইসলামকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। (গত ১২ জুন মাতামুহুরী নদী থেকে পর্যটক জুবাইরুল ইসলামকে এবং ১৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে তৈনখালের আমতলী ঘাট এলাকা থেকে স্মৃতি আক্তার নামে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি গুরুতর।)
প্রাথমিক তদন্তে ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপে এডমিন বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে চরম দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ৩৩ জন পর্যটককে মাত্র একজন গাইড নিয়ে বিপদসংকুল ও অননুমোদিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া ছিল এর অন্যতম কারণ। এই ঘটনা দেশের অনলাইনভিত্তিক ভ্রমণ গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জরুরি প্রয়োজন তুলে ধরেছে। পর্যটন খাতে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর নিবন্ধন, উন্নত নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং জবাবদিহিতা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।
১. ঘটনা পর্যালোচনা: আলীকদমে পর্যটক মৃত্যু
এই অংশটি ঘটনার বাস্তব প্রেক্ষাপট তুলে ধরবে, যেখানে স্থান, অংশগ্রহণকারী এবং মর্মান্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হওয়া ঘটনাপ্রবাহের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে।
১.১. ঘটনার কালক্রম এবং স্থানের বিস্তারিত বিবরণ
আলীকদমের ঘটনাটি ঘটেছিল এক দুর্গম পাহাড়ি ঝরনা ও খালঘেরা ট্রেইলে, শামুক ঝিরি ঝর্ণা এলাকায়। এই এলাকাটি তার সহজাত বিপদসংকুলতার জন্য পরিচিত। এখানে স্থানীয় গাইড ছাড়া প্রবেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, এমনকি প্রশাসনের অনুমতিও প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্ষা ইসলাম সে অনুমতি নেননি।
এমন একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গন্তব্যে বর্ষা ইসলাম “ট্যুর এক্সপার্ট” নামক একটি ভ্রমণ গোষ্ঠীর ৩৩ জন পর্যটককে নিয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এই ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনের দলে বর্ষা ইসলাম নিজে থাকলেও সাথে গাইড ছিলেন মাত্র একজন (সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা)। অপরদিকে, ২২ জনের একটি গ্রুপ শামুক ঝিরি এলাকায় যায়। অথচ তাদের সাথে কোনো গাইড ছিল না। এই গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি অভিযানের শুরুতেই বিপদ ডেকে আনে।
এই অভিযানের একপর্যায়ে ৩ জন পর্যটক নিখোঁজ হন এবং পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেন এবং উদ্ধার তৎপরতা চালান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর “ট্যুর এক্সপার্ট” গ্রুপের মূল সংগঠক বর্ষা ইসলামকে ১৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকেলে আটক করা হয়।
১.২. “ট্যুর এক্সপার্ট” এবং বর্ষা ইসলামের ভূমিকা
“ট্যুর এক্সপার্ট” একটি অনলাইনভিত্তিক ভ্রমণ গোষ্ঠী, যা ফেসবুকে তাদের প্রচারণা চালায়। বর্ষা ইসলাম এই গোষ্ঠীর মূল সংগঠক এবং অ্যাডমিন। এই পরিচয়ে তিনি এই দুর্ভাগ্যজনক ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন।
বর্ষা ইসলামের সাথে কথা বলে তাকে একজন সমস্যাগ্রস্ত ও বর্তমানে দিশেহারা মহিলা হিসেবে মনে হয়েছে। বর্ষার স্বামীও ২০২৩ সালের ১২ আগস্ট ট্যুরে গিয়ে মারা যান।
বর্ষার বেয়াড়াপনা: পর্যটকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি
আলীকদমের এই স্থানটি যে “দুর্গম” এবং “বিপজ্জনক” এবং এখানে প্রবেশ করতে “স্থানীয় গাইড” ও “প্রশাসনিক অনুমতি” প্রয়োজন, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপরেও ৩৩ জন পর্যটককে মাত্র একজন গাইড দিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া নিছক ভুল নয়; এটি পরিচিত নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং পরিবেশগত ঝুঁকির প্রতি একটি মৌলিক অবজ্ঞা।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় যে, বর্ষা পরিচালিত ট্যুর এক্সপার্টের মতো কিছু ভ্রমণ গোষ্ঠী সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ট্যুরিজমের নামে আলীকদমে অরাজকতা ও হুমকির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যা মৌলিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সম্মতিকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করার শামিল। ৩৩ জন পর্যটকের জন্য মাত্র একজন গাইড থাকা কোনো দুর্ঘটনা নয়; এটি সম্ভবত খরচ কমানোর একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ অথবা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গভীর অভাবের ফল। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ১২ জন পর্যটকের জন্য ১ জন গাইড থাকাকে বাধ্যতামূলক করেছে। তবে ২২ জনের দলে কোনো গাইড ছিল না।
বর্ষার মতো ট্যুর অ্যাডমিনদের কারণে এই ধরনের ঘটনা অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের প্রতি জনমানুষের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করে। তাছাড়া, প্রাকৃতিক স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকারের উপর সামগ্রিক বিধিনিষেধ আরোপের কারণ হতে পারে। যা দায়িত্বশীল অপারেটর এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
মূলত, বর্ষাদের অত্যাচারে অতীষ্ট প্রশাসন অনেকটাই বাধ্য হয়ে এসব জায়গায় ভ্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করার নীতি অবলম্বন করে থাকে। তথাকথিত ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপসহ “রোমাঞ্চ-সন্ধানী” গোষ্ঠীগুলির অনিচ্ছাকৃতভাবে অনিরাপদ অনুশীলন বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। নইলে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গমণ ভবিষ্যতে আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে, আমরা আলীকদমের পর্যটনখাত বন্ধ হোক সেটা কোনোভাবেই সমর্থন করি না।
২. তদন্তের ফলাফল এবং বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এই অংশে তদন্তের মূল বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা হবে, যেখানে বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তার দাবির সঙ্গে তদন্তের ফলাফলের অসঙ্গতি তুলে ধরা হবে।
২.১. বর্ষা ইসলামের কথিত দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনা
তদন্তে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, “পুরো ট্যুর ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বেই ছিলেন বর্ষা, এবং একাধিক ট্রিপের পেছনে মূল পরিকল্পনাকারীও তিনিই।” এটি তার নিজস্ব দাবিকে সরাসরি খণ্ডন করে যেখানে তিনি নিজেকে নির্দিষ্ট ঘটনা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তদন্তে বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে:
২.২. বর্ষা ইসলামের আত্মপক্ষ সমর্থনের দাবি বনাম তদন্তের ফলাফল
বর্ষা ইসলাম তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে দুটি প্রধান দাবি করেন:
২.৩. আইনি অবস্থা এবং অভিযোগ
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলীকদম সেনা জোন থেকে বর্ষা ইসলামকে পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে “পর্যটন নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘন” এবং
**”প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গোপনে বিপজ্জনক এলাকায় পর্যটক প্রবেশ করানো”**র অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিম্নোক্ত সারণীটি বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা প্রধান অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট নীতি লঙ্ঘনের একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করে:
অভিযোগ/লঙ্ঘন | বিবরণ | পর্যটন নীতি/নিয়ম লঙ্ঘন | উৎস |
অপর্যাপ্ত গাইড-পর্যটক অনুপাত | বিপজ্জনক এলাকায় মাত্র ১ জন গাইড নিয়ে ৩৩ জন পর্যটককে পরিচালনা। | পর্যটন নিরাপত্তা নির্দেশিকা (যত্নশীলতার মানদণ্ড), ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রোটোকল | প্রতিবেদকের অনুসন্ধান |
স্থানীয় গাইড/নিরাপত্তার অভাব | স্থানীয় বিশেষজ্ঞ বা নিরাপত্তা ছাড়া বিপজ্জনক, অনুমতি-সাপেক্ষ এলাকায় প্রবেশ। | স্থানীয় প্রশাসনিক নিয়মাবলী, পর্যটন নিরাপত্তা নির্দেশিকা | প্রতিবেদকের অনুসন্ধান |
পরিচয় গোপন ও নিয়ম ভঙ্গ | পরিচয় গোপন করে এবং প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে পর্যটক প্রবেশ করানো। | প্রশাসনিক প্রবেশ অনুমতি, স্থানীয় শাসন নিয়মাবলী, পর্যটন নিরাপত্তা আইন | প্রতিবেদকের অনুসন্ধান |
সামগ্রিক ট্যুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব | একাধিক ট্রিপের মূল পরিকল্পনাকারী এবং পুরো ট্যুর ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক দায়িত্বশীল হওয়া। | পেশাদার জবাবদিহিতা, ট্যুর অপারেটরদের যত্নের দায়িত্ব | প্রতিবেদকের অনুসন্ধান |
বিভ্রান্তিকর আত্মপক্ষ সমর্থনের দাবি | কো-অপারেটরের উপর দোষ চাপানো বা সম্পর্কের অভিযোগের মাধ্যমে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। | নৈতিক আচরণ, ন্যায়বিচারে বাধা (অন্তর্নিহিত) | প্রতিবেদকের অনুসন্ধান |
২.৪. বর্ষা ইসলামের মিথ্যাচার ও গোঁড়ামি আচরণ:
বর্ষা ইসলামের “ভিন্ন ট্যুরে” থাকার দাবি এবং তার বিতর্কিত “প্রেমের সম্পর্ক” বিষয়ক অভিযোগ উভয়ই তদন্তকারীদের দ্বারা “দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল” হিসেবে সুস্পষ্টভাবে বাতিল করা হয়েছে। এটি কেবল একটি সাধারণ অস্বীকার নয়, বরং দোষ এড়ানোর একটি বহুমুখী কৌশল। এই ধরনের আচরণ অনিয়ন্ত্রিত ট্যুর শিল্পের কিছু অংশের মধ্যে নৈতিক দেউলিয়াত্ব এবং পেশাদার জবাবদিহিতার অভাবের একটি গভীর সমস্যা নির্দেশ করে।
যখন অপারেটররা আইনি পরিণতি এড়াতে গল্প তৈরি করতে বা ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করতে ইচ্ছুক থাকে, তখন এটি একটি পদ্ধতিগত সমস্যার ইঙ্গিত দেয় যেখানে লাভ বা অ্যাডভেঞ্চারের আকাঙ্ক্ষা নিরাপত্তা ও সত্যের প্রতি যেকোনো নৈতিক বা পেশাদার বাধ্যবাধকতাকে ছাপিয়ে যায়।
এই ধরনের আচরণ একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করতে পারে, যা ভবিষ্যতে ঘটনাগুলোর সত্যতা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাকে আরও কঠিন করে তোলে। যদি এই ধরনের এড়ানোর কৌশল সফল হয়, তবে তা আইনের শাসন এবং জনমানুষের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করে।
এটি শক্তিশালী তদন্ত ক্ষমতা এবং আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে যা এই ধরনের বিচ্যুতিগুলি দ্রুত মোকাবিলা করতে পারে এবং কেবল ব্যক্তির জন্যই নয়, বরং এই ধরনের আচরণকে সম্ভব করে তোলা কর্মপদ্ধতির জন্যও প্রকৃত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে।
বর্ষা ইসলাম দাবি করেন যে, “অন্য ট্যুর”টি “কো-অপারেটর হাসান” দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তদন্তে উপসংহার টানা হয়েছে যে বর্ষা ছিলেন “একাধিক ট্রিপের মূল পরিকল্পনাকারী” এবং তার “প্রাথমিক দায়িত্ব” ছিল। অথচ, বর্ষা দায় এড়ানোর জন্য মিথ্যাচার করছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
বর্ষা থানায় আটক থাকাবস্থায় এ প্রতিবেদক তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান। তাকে এ সময় খুব হতাশাগ্রস্ত দেখাচ্ছিলো, তাই হতাশাজনিত কারণ থেকে তার আচরণও ছিলো ঔদ্ধত্যপূর্ণ।
২২ জনকে ট্যুরে পাঠালেন, গাইড নিলেন না কেন, এ প্রশ্ন করা হয় তাকে। তিনি উত্তর দেন, ‘আমি বিষয়ে কোনো কিছু বলব না।’ ঘটনাসংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশকে তিনি ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রচার বলে দাবি করেন। এটি তাঁর দায় এড়ানোর কৌশল বলে প্রতীয়মান হলো। তার বক্তব্য, কো-হোস্ট হাসানই দায়ী!
৩. নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা এবং নিরাপত্তা প্রোটোকলের বিশ্লেষণ
এই অংশটি বিদ্যমান বা প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক কাঠামোর প্রেক্ষাপটে চিহ্নিত নির্দিষ্ট লঙ্ঘনগুলি বিশ্লেষণ করবে, যা ঘাটতি এবং ত্রুটিগুলি তুলে ধরবে।
৩.১. নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন এবং প্রশাসনের দায়
১:৩৩ অনুপাতের গাইড-পর্যটক একটি “বিপজ্জনক” এলাকায় যেকোনো যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা মানদণ্ডের গুরুতর লঙ্ঘন। যদিও এটি সরাসরি একটি “আইন” হিসেবে উল্লিখিত নয়, তবে এটি বিপজ্জনক পরিবেশে নিরাপদ গোষ্ঠী ব্যবস্থাপনার একটি মৌলিক নীতি। এ নীতি প্রয়োগে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও থানা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের দায়টি বেশি বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয় ট্যুর গাইডদের লাগাম টানতে কিংবা প্রশিক্ষিত জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে প্রশাসন।
“দুর্গম পাহাড়ি ঝরনা ও খালঘেরা ট্রেইলে” স্থানীয় গাইড এবং নিরাপত্তার অভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় গাইডরা ভূখণ্ড, আবহাওয়ার ধরণ এবং জরুরি পথের মূল্যবান জ্ঞান রাখেন। তাদের অনুপস্থিতি ঝুঁকিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।
“পরিচয় গোপন করে প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে পর্যটক প্রবেশ করানো” সরকারি তদারকিকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এটি নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজাইন করা স্থানীয় প্রশাসনিক প্রোটোকলের সরাসরি লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাই। তবে, এ কঠোরতার মাধ্যমে যাতে স্থানীয় পর্যটনখাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে।
৩.২. “পর্যটন নিরাপত্তা নীতিমালা” এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিধিমালা নিয়ে আলোচনা
বর্ষা ইসলামের বিরুদ্ধে “পর্যটন নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন” সহ মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি পর্যটন নিরাপত্তার জন্য একটি আইনি কাঠামোর অস্তিত্ব নিশ্চিত করবে। এই ঘটনাটি তুলে ধরে যে বিদ্যমান আইন থাকা সত্ত্বেও, বিশেষ করে অনলাইন-ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলির জন্য, প্রয়োগ এবং সম্মতি গুরুতরভাবে অনুপস্থিত। স্পষ্ট বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:
বর্ষার বিরুদ্ধে “পর্যটন নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের” জন্য একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি নির্দেশ করে যে একটি আইনি কাঠামো বিদ্যমান। তবে, ঘটনাটি নিজেই (অনিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী, বিপজ্জনক অনুশীলন) ইঙ্গিত দেয় যে এই আইন, অথবা এর প্রয়োগ, অপর্যাপ্ত অথবা অনলাইন/অনানুষ্ঠানিক অপারেটরদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় না। সমস্যাটি আইনের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নয়, বরং এর প্রয়োগ অনুপস্থিত ছিল।
যেমন: ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট বর্ষা ইসলামের স্বামী অন্য একটি গ্রুপে ট্যুর অপারেট করতে গিয়ে মারা যান। সে সময় মানবিক কারণ দেখিয়ে বর্ষা ইসলামকে জবাবদিহীর আওতায় আনা হয় নি। সেবারও বর্ষা ইসলাম গাইড ছাড়া স্বামীকে পর্যটক নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়েছিলেন।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি প্রতিরোধমূলক তদারকির পরিবর্তে প্রতিক্রিয়াশীল (ঘটনার পরে) হতে পারে। এটি প্রয়োগের পদ্ধতি শক্তিশালী করা, অপারেটরদের মধ্যে বিদ্যমান আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও অনানুষ্ঠানিক ট্যুর সংগঠকদের স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইন প্রয়োগ বা সংশোধন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। এটি সামগ্রিক সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের (যেমন, স্থানীয় প্রশাসন, পর্যটন বোর্ড, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা) প্রয়োজনীয়তাও বোঝায়।
অনুসন্ধানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জানান, বিপজ্জনক এলাকার জন্য “প্রশাসনিক অনুমতির” প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে হবে, যা স্পষ্টতই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনা ঘটার পর তৎপর হলেও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সমন্বয়হীনতায় ভোগেন।
উপরন্তু, পর্যটন এলাকায় ঘোরাঘুরির নানান বিধি-নিষেধের গ্যাঁড়াকল তৈরিতে সকলেই পারঙ্গমতা দেখান। যা ট্যুরের অন্তর্নিহিত “অ্যাডভেঞ্চার” বা “রোমাঞ্চ-সন্ধানী” প্রকৃতির বিপরীত। নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজাইন করা একটি নিয়ন্ত্রক “অনুমতি সংস্কৃতি” এবং অনলাইন গোষ্ঠীগুলির দ্বারা প্রচারিত একটি উদীয়মান “অ্যাডভেঞ্চার সংস্কৃতি”-এর মধ্যে একটি মৌলিক সংঘাত রয়েছে, যা প্রায়শই আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির চেয়ে প্রবেশাধিকার এবং নতুনত্বকে অগ্রাধিকার দেয়।
“পরিচয় গোপন করে এবং প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে” প্রবেশ করা কেবল একটি ভুল নয়; এটি একটি ইচ্ছাকৃত কাজ, যা একটি স্থানীয় সিস্টেমকে বাইপাস করার জন্য করা হয়, যা বর্ষা ইসলাম করেছেন। এটি স্থানীয় প্রশাসন/নিয়ন্ত্রকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কীভাবে বৈধ অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনকে সহজতর করা যায় এবং একই সাথে নিরাপত্তার প্রতি ট্যুর গ্রুপদের বেপরোয়া আচরণ রোধ করা যায় তা নির্ধারণ করা স্থানীয় প্রশাসনের জন্য এখন সময়ের দাবি। একই সাথে অনলাইনভিত্তিক ট্যুর গ্রুপদের বেপরোয়া লাগাম টানার সময় এসেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের একটি সুষম পদ্ধতির প্রয়োজন যা বৈধ অনুমতি প্রক্রিয়াগুলিকে সহজ করে তোলে। একই সাথে অননুমোদিত প্রবেশের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদান করে। এবং অপারেটর ও পর্যটক উভয়কেই তাদের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের অনুমতির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতেও প্রশাসন দায়িত্বশীল হতে হবে।
৪. অনলাইন ভ্রমণ গোষ্ঠী এবং পর্যটন নিরাপত্তার জন্য বৃহত্তর প্রভাব
এই অংশটি নির্দিষ্ট ঘটনার বাইরে বিশ্লেষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন ভ্রমণ গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলি তুলে ধরবে।
৪.১. অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন ভ্রমণ গোষ্ঠীগুলির উত্থান এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি
“ভ্রমণভিত্তিক ফেসবুক ও অনলাইন গ্রুপগুলোর” দ্রুত বৃদ্ধি পর্যটন সংগঠনের একটি নতুন পদ্ধতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলি নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো পরিচালিত হয়, যেখানে আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন, লাইসেন্সিং এবং জবাবদিহিতা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, “এসব গ্রুপের কিছু অংশ বর্তমানে নিয়মবহির্ভূত ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক অভিযানের আয়োজন করছে”। এটি ট্যুর গ্রুপদের মুনাফার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। এই ধরনের গোষ্ঠীর সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলির মধ্যে রয়েছে: অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা, অযোগ্য গাইড, গাইড খরচ এড়ানোর জন্য গাইড না নেওয়া, প্রশাসনকে ফাঁকি দেওয়া। যেমনটি বর্ষা ইসলাম করেছেন। এটি একটি সর্বশেষ উদাহরণ। এ ধরণের আচরণ অনেক ট্যুর গ্রুপ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
৪.২. স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা
এই ঘটনাটি “দেশের ভ্রমণভিত্তিক ফেসবুক ও অনলাইন গ্রুপগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা” নিশ্চিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। গ্রুপগুলোকে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে আনতে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন এবং সুস্পষ্ট অপারেশনাল নির্দেশিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪.৩. জনমানুষের বিশ্বাস এবং জাতীয় পর্যটন চিত্রের উপর প্রভাব
এই ধরনের ঘটনা অভ্যন্তরীণ পর্যটনের নিরাপত্তার প্রতি জনমানুষের বিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এটি আলীকদমে নিরাপদ পর্যটন ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে তারা বেকায়দায় ফেলছে।
এসব গ্রুপের কিছু অংশ বর্তমানে নিয়মবহির্ভূত ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক অভিযানের আয়োজন করে আসছে। এটি এমন একটি ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে যেখানে স্থানীয় প্রশাসন (নিয়ন্ত্রক কাঠামো) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দ্বারা চালিত পর্যটন খাতের দ্রুত উদ্ভাবনকে আয়ত্তে নিতে পারেনি। এসব খাতকে স্থানীয় উন্নয়নেও কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে প্রশাসন তাল মেলাতে পারেনি। এ জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি। এই অ্যাপস তৈরির ক্ষেত্রে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কিংবা পার্বত্য জেলা পরিষদ অর্থায়ন করতে পারে।
“অবৈধ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য” স্থানীয় প্রশাসনকে যেসব গ্রুপ উপেক্ষা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে এই এলাকায় ঢুকতে বারণ করতে হবে। তবে বৈধ অপারেটরদের পর্যটন এলাকায় যেতে নিয়মনীতির আওতায় অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি প্রায়শই অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি তৈরি করে। এতে যুক্ত হন পর্যটকরা। অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কতা বা নিয়মাবলীর চেয়ে গ্রুপ অ্যাডমিনের উপর বেশি আস্থা রাখে। এতে অনিয়ন্ত্রিত ট্যুরের বিপদ তারা বুঝতে চান না। যেমনটি ঘটেছে বর্ষা ইসলামের ক্ষেত্রে।
৫. উন্নত পর্যটন নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশমালা
এই অংশটি বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত কার্যকর সুপারিশমালা হিসেবে তুলে ধরা হবে, যার লক্ষ্য ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা এবং একটি নিরাপদ, আরও দায়িত্বশীল পর্যটন পরিবেশ গড়ে তোলা।
৫.১. ট্যুর অপারেটরদের কঠোর নিবন্ধন ও লাইসেন্সিং
৫.২. গাইড যোগ্যতা, নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং জরুরি প্রোটোকলের জন্য নির্দেশিকা
৫.৩. প্রশাসনিক তদারকি, প্রয়োগ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
৫.৪. জনসচেতনতা অভিযান
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা নিয়ম ভঙ্গের জন্য বর্ষা ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে “দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির” আহ্বান জানিয়েছেন। যদি শাস্তি খুব হালকা হয়, অথবা প্রয়োগ অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে অপারেটররা অ-অনুসরণকে একটি কার্যকর, খরচ-সাশ্রয়ী কৌশল হিসাবে দেখতে থাকবে। প্রকৃত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো, দক্ষ বিচারিক প্রক্রিয়া এবং অটল প্রশাসনিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। অপারেটর, গাইড এবং এমনকি ট্যুরের সুবিধা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে দায়বদ্ধতা কী হবে সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট সংজ্ঞাও প্রয়োজন।
সমস্যাটি মূলত “ভ্রমণভিত্তিক ফেসবুক ও অনলাইন গ্রুপগুলো” থেকে উদ্ভূত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরাসরি নিয়ন্ত্রণ জটিল। তবে কর্তৃপক্ষ ট্যুর বিজ্ঞাপনগুলি চিহ্নিত ও ফ্ল্যাগ করার জন্য সক্রিয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও সরকারিভাবে এ ধরণের আশা সুদূর পরাহত। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া যাতে কোনো ট্যুর গ্রুপ আলীকদমের পর্যটন এলাকায় ঘোরার বিজ্ঞাপন দিতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এতে অনিরাপদ বা অবৈধ ট্যুর প্রচারকারী বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা, অথবা এমনকি এমন আইন প্রণয়নও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা প্ল্যাটফর্মগুলির উপর তাদের পরিষেবার মাধ্যমে পরিচালিত বাণিজ্যিক কার্যকলাপের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার দায়িত্ব আরোপ করে। এটি নিয়ন্ত্রক (স্থানীয় প্রশাসনের জন্য) উন্নয়নের একটি জটিল কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র।
উপসংহার
আলীকদমের ঘটনাটি উদীয়মান পর্যটন খাতে, বিশেষ করে অনলাইন-ভিত্তিক অপারেটরদের ক্ষেত্রে, নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের সমালোচনামূলক গুরুত্বের একটি কঠোর স্মারক। চিহ্নিত নিয়ন্ত্রক লঙ্ঘন এবং বর্ষা ইসলামের কথিত অবহেলা গভীর পদ্ধতিগত সমস্যার লক্ষণ যা তাৎক্ষণিক এবং ব্যাপক সংস্কারের দাবি রাখে।
এই ঘটনাটি নীতি নির্ধারক, নিরাপত্তা বাহিনী, পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট পক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং জনসাধারণের কাছ থেকে সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি শক্তিশালী আহ্বান জানায় যাতে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রোটোকল বাস্তবায়ন করা যায়, কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায় এবং দায়িত্বশীল পর্যটনের একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায় যা সবার উপরে মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়। এই ঘটনাটি অবশ্যই ভবিষ্যতের ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ এবং আলীকদমের পর্যটন শিল্পের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য একটি অর্থপূর্ণ, স্থায়ী পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
প্রতিবেদক:
মমতাজ উদ্দিন আহমদ
সভাপতি,
আলীকদম প্রেসক্লাব,
বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
তারিখ: ১১/০৬/২০২৫ খ্রি.