সানজিদা আক্তার রুনা, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি |
পাহাড়ি জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ির দৃষ্টিনন্দন পর্যটন উপবন কেন্দ্র। ঈদের দিন ও ঈদের চতুর্থ দিন পর্যটকদের ভিড়ে ঠাঁই নেই। ঈদ পরবর্তী ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র। অন্যান্য বৎসরের চেয়ে এই বৎসর ঈদে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কেউ পাহাড়ের দৃষ্টি নন্দন স্পটে কেউ ঝুলন্ত ব্রীজে আবার কেউ ঘুরছে লেকের শীতল পানিতে কায়াকিং বোটে ভ্রমণ করে নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিচ্ছে। আবার এমন দৃশ্য নিজেদের বহনকৃত স্মার্ট ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পরিবার পরিজন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। ঢাকা থেকে আসা নিলা ইয়াসমিন শারমিন দম্পতি বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা পরিবারের ১৫ জন কক্সবাজার থেকে ট্যুারিজম এর মাধ্যমে এখানে এসে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ও প্রশাসনের নিরাপত্তা আমাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে লেকে ওয়াচ টাওয়ারটি যে কারোই দৃষ্টি কাড়ে। কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা সকাল ৮টায় কক্সবাজার কলাতলী থেকে মাত্র ৫০ মিনিটে এখানে আসি। এই প্রথম পাহাড়ি এলাকা দেখে প্রথমে ভয় পেলেও এখানকার পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে দেশকে জানতে হলে এই পাহাড়ের দেশে আসতে হবে।
মিরপুর থেকে ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ ইবরাহীম নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, আমরা প্রতি বৎসর ৩ দিনের জন্য কক্সবাজার আসি কিন্তু এখানে এসে এখানকার মানুষের মনোমুগ্ধকর আচরণে আমরা এখানে আরো একদিন থাকবো। তবে পর্যটন লেকের উপরে গাড়ি পার্কিং এর বড় কোন ব্যবস্থা না থাকায় হিমশিম খেতে হয়, তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্তা করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
লেকের ব্যবসায়ী হান্নান বলেন, আমাদের এখানের পরিবেশ ভালো হওয়ায় পুরো বছর পর্যটক থাকে, তবে ঈদের মৌসুমে ৫/৭ দিন ভিড় বেশি থাকে, আমরাও ন্যায্য মূল্যে পর্যটকদের সেবা দিয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমেন শর্মা, জানান দেশে মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে এই বৎসর মানুষ আনন্দে ঈদ উদযাপন করছে। আর আমাদের পর্যটন স্পটগুলো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে নিকটে হওয়ায় পর্যটক বেড়েছে। তিনি আরও জানান গত তিন দিন প্রায় ১৩ হাজারের অধিক পর্যটকের সমাগম হয়েছে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য লেকে আনসারসহ সাদা পোশাকে প্রশাসনিক লোক রয়েছে, এবং আমি প্রতিদিন সকাল বিকাল গিয়ে দেখছি যেন বাইরের থেকে ঘুরতে এসে কোন পর্যটক হয়রানির শিকার না হয়।