আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি |
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে পূর্বের জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনাকে নতুন করে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডর তিতরপাড়া গ্রামের লম্বাবিল এলাকায় রমজানের বাড়ী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, আহত ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের তিতা পাড়া গ্রামের লম্বাবিল এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুদু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হাজেরা খাতুন ও শফি আলম জমির সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে । বৃহস্পতিবার সকালে জনৈক শফি আলমের নেতৃত্বে বহিরাগত ২৫/৩০ লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমির দুদু মিয়ার বসত ভিটায় নির্মাণাধীন টিন সেট ঘরটিতে হামলা পূর্বক মারধর ও বসত ঘরটি ভাংচুর করে লুটপাট করে। এতে বাধা দেন রবিউল ও তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শফি আলম ও হাজেরা খাতুনের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের দুদু মিয়ার ভাই মকবুলের গর্ভবতী স্ত্রীকে অর্তকিত লাথি মারলে সে গুরুতর আহত হয়। এসময় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় শফি আলম ও হাজেরার লোকজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। আহতরা হলেন- মো: দুদু মিয়া (৬৫), ছৈদ আলম(৫০),মকবুল আহমেদ (৩০),তছলিমা আক্তার (২৮), সর্বসাং-তিতারপাড়া , লম্বাবিল এলাকার রমজাননের বাড়ী। অপর পক্ষের আহতরা হলেন, হাজেরা খাতুন(৪২), আবু বক্কার (৪৮), শফি আলম,। সর্বসাং -তিতা পাড়া গ্রামের লম্বা বিল এলাকার রমজানের বাড়ী।
আর এদিকে, আহত বহিরাগতরা হলেন, আশরাফ আলী,রওশন আলী,মো: নুর,আ:রহিম,নওশেদ আলী সর্বসাং- কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানা। আহতদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উভয় পক্ষকে উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে, আহতদের মধ্যে আশংকাজনক নেই বলে চিকিৎসক জানান। দুদু মিয়া বলেন, আমার জায়গায় আমি ছেলেকে টিন সেট নির্মাণ অবস্থায় জনৈক শফি আলমের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে লোহার শাবল,কুড়াল, লাঠি-সোঠা, নিয়ে অর্তকিত ছেলে রবিউল (২৭) বসত ভিটায় টিনসেট ঘরটি ভাংচুর করে । এ সময় হাজেরা খাতুন ও শফি আলম আমাদের ওপর হামলা চালান। অপরদিকে হজেরা খাতুন বলেন, জমির উপর ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে দেখতে আসলে তখন নির্মাণ করতে নিষেধ করলে তারা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আবাসিক) ডা. অমিতা দাশ গুপ্ত বলেন, আহতদের তিনজনকে গুরুতর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে রেফার করা হয়।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবু সায়েম জানান, জমি বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে সংঘাতের খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছেন।