শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি |
নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকের ইটের সলিং সড়কটি দীর্ঘ ৩০ বছর অনুপযোগী হয়ে থাকলেও এবার
উন্নয়নে ছুঁয়া লাগতে শুরু করেছে। সড়কটি উন্নয়নে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলা উপবন পর্যট লেক হয়ে সোনাইছড়ির জারুলিয়াছড়ি পর্যন্ত ২কি: ৫শ মিটার রাস্তার ড্রইং ডিজাইন অনুসারে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের উন্নয়ন কাজটি, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অনুমতি দেন “মেসেস এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা লিমিটেডকে।
সরজমিন গিয়ে জানাযায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেক সড়কটির কিছু অংশ কার্পেটিং (পিচ ঢালাই) থাকলেও বাকী আড়াই কিলোমিটার ছিল ইটের সলিং। সেই ইটের সড়কটির আশেপাশে তিন ভাগের দুইভাগ ইট মানুষের ঘরে ঘরে। গ্রামের অধিকাংশ ঘরে মাটির চুলা। মাটির চুলা তৈরি করতে ইট প্রয়োজন হয়। তাই ইটগুলো মানুষের ঘরে ঘরে। এতে যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি।
আরও জানাযায়, সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের উপবন পর্যটন লেক হয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ির গ্রামের প্রধান সড়ক সংযোগ হচ্ছে। এই সংযোগ সড়কটিতে প্রতিদিন শত মানুষের যাতায়াত করে আসছে । সড়কটি দুই পাশে অর্ধশতাধিক ফলজ বাগান আর দুই শতাধিক মানুষের বসবাস। বিদুৎতে লাইন সংযোগ রয়েছে প্রায় দুই বছর ধরে। এই সড়কটি উন্নয়ন কাজ শেষে
সুফলভোগ করবে এলাকাবাসী ।
এলাকাবাসী জানান, গত ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি পরির্দশনে আসেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় প্রকৌশলীর লোকজন। তারা মাপজোপ করে ঠিকাদারের দায়িত্বশীল মাওলানা সুলতান আহমদকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেন।
ঠিকাদারের দায়িত্বশীল মাওলানা সুলতান আহমদ জানান, রাস্তাটি দীর্ঘ বছর ধরে খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা।
কাজের শুরুতে স্থানীয় সচেতন মানুষের আন্তরিকতা পেলে অতিশীঘ্র কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রিতিনিধির অনুরুধে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাস্তাটি নির্মাণ কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। সড়কটি নির্মাণ হলে এলাকাবাসীসহ পথচারীদের দুভোর্গ লাঘব হবে।