শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে ৩৪ বিজিবির উদ্যোগে সীমান্তের স্পর্শকাতর স্থানসমূহে সচেতনতামূলক ফেস্টুন স্থাপন শুরু হয়েছে।
২৪ আগষ্ট (রবিবার) সকালে
ঘুমধুম সীমান্তে ঘুরে
জানাযায়, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ান (৩৪ বিজিবি) এর উদ্যোগে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি,সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
পরবর্তী ধাপে ঘুমধুম-তুমব্রু-বাইশফাড়ী সীমান্ত সড়কের দু’পাশে পর্যায়ক্রমে এসব ফেস্টুন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ৩৪ বিজিবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু, মাদক ও বিভিন্ন চোরাচালান কার্যক্রম রুখে দিতে বিজিবি সর্বদা তৎপর। আমাদের সীমান্তের জোয়ানরা দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই দেশের জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। আমরা আপনাদের পাশে থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মাহমুদুল হাসান জানান, বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষা করে না, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।সীমান্ত সুরক্ষায় আমাদের বিজিবির পাশে থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে হবে মাদক, চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধ থেকে নিজ সমাজকে রক্ষা করার জন্য।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্ণেল খায়রুল আলম জানান, মাদক সমাজকে ধ্বংস করে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিজিবির একার পক্ষে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। “সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব নয়, এ জন্য জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। তাই আমরা সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।”
উল্লেখ্য, বান্দরবান সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালান জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিজিবির এ উদ্যোগ এলাকাবাসী ও সচেতন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।