1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামার সরই ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আয়োজন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আলীকদমে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ গজালিয়ায় কৃষকদলের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি লামায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫’ নাইক্ষ্যংছড়িতে যুবককে হত্যা ঘুমধুম সীমান্তে ২০ হাজার ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক নাইক্ষ্যংছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজ নেতা গ্রেফতার তিন পার্বত্য জেলায় বিষবৃক্ষ তামাক ছেড়ে ইক্ষু চাষে ফিরেছেন ১ হাজার ৪২৭ চাষি, উৎপাদন করেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টন আখ ও ৯২.৮ মেট্রিক টন গুড় লামায় রিসোর্ট ম্যানেজার অপহরণ, আটক ৩ বান্দরবানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি আলমগীর, সম্পাদক রুমু বান্দরবানে জীবনরক্ষার সামগ্রী ছাড়াই বিপজ্জনক ভ্রমনে পর্যটকরা, প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক ঘুমধুম সীমান্তে ফেরে বিজিবির অভিযানে ১লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় : তিন সন্ত্রাসী আটক : অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ বন্ধের দাবীতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি লামা ছাত্র জনতা পরিষদের

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
২০১৫ সালে বান্দরবান ও পাশের কক্সবাজার জেলায় বিষবৃক্ষ তামাক চাষ হয়েছিল মাত্র ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। অথচ চলতি মৌসুমে শুধু বান্দরবান জেলাই তামাক চাষ হয়েছে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এ চাষের ফলে পরিবেশ হারাচ্ছে তার নিজস্ব ভারসাম্য, কমে যাচ্ছে মাটির গুনাগুন। উজাড় হয়ে গেছে বনাঞ্চল, এর প্রভাবে প্রাণীকুল হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও খাদ্য নিরাপত্তা। এতে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তামাক চাষীরা।
এদিক বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিষবৃক্ষ এ তামাক চাষ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তুলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারক লিপি দিয়েছেন- লামা উপজেলার ছাত্র জনতা পরিষদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে এ স্মারক লিপি তুলে দেন- ছাত্র জনতা পরিষদের নেতা মো. আবু কাউছার, মো. নাজমুল হাসান, মো. জামাল হোসেন, মো. নাজিম উদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মাসুদ পারভেজ ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সবুজ গুপ্ত ঘাতক নামে পরিচিত তামাক কোন খাদ্য নয়। এমনকি সচরাচর অর্থে কৃষকের ফসলও নয়। কৃষক তার নিজের প্রয়োজনে এই তামাক উৎপাদন করে না কিন্তু কৃষি জমিতেই চলছে তামাকের আগ্রাসন। বেসরকারী এক তথ্য মতে, অথচ তায় পরিবেশের সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে তামাক ও তামাকের বাই প্রোডাক্ট উৎপাদন বন্ধ করে বিকল্প চাষ পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। তারা আরও উল্লেখ বলেন, একজন কৃষকের পরিবেশ বিনষ্টকারী তামাক চাষ করে যে পরিমান লাভবান হয়, তার চেয়ে অধিক পরিমান লাভবান হওয়া যায় এমন কৃষিপন্য বর্তমান আছে, যা একটি উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব।
স্মারক লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট সাংবাদিক আলা উদ্দিন শাহারিয়ারের দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে বান্দরবান জর্জ আদালত কর্তৃক জারী করা এক আদেশে বান্দরবান জেলায় ১ হাজার হেক্টরের বেশি নয় জমিতে তামাক চাষ করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তৎসঙ্গে নদীর তীর ও পাহাড়ের কিনারায় তামাক চাষ এবং বন উজার করে তামাকের চুল্লি­ ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তামাক চাষ হচ্ছে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে। নদীর তীর, পাহাড়ের কিনারায় ও তামাক চুল্লির জন্য ব্যবহার হচ্ছে বনের কাঠ। এমনকি বনবিভাগ ও সরকারি প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়ে থাকে।

তামাক কোম্পানী কর্তৃক অগ্রিম লোন ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য উদ্দীপনার কারণে ক্ষতি আছে জেনেও চাষীরা তামাক চাষ করতে উৎসাহী হচ্ছে। এখনি যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলেও স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন ছাত্র জনতা পরিষদ। তবে তামাক লামা পৌরসভা এলাকার ছাগল খাইয়া গ্রামের তামাক চাষী শাহ জাহান, আবুল কালাম ও আনোয়ার হোসেন জানায়, পরিবেশ ও নিজেদের ক্ষতির কথা জানার পারও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে তামাক চাষ করতে হচ্ছে। সরকার বিকল্প চাষের উদ্যোগ নিলে তামাক চাষ ছেড়ে দিবেন তারা।


লামা ছাত্র জনতা পরিষদ নেতা মো. আবু কাউছার, নাজিম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় গড়া সামাজিক সংগঠন ‘লামা ছাত্র জনতা পরিষদ’। এ সংগঠন’র লক্ষ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে, দূনীতি প্রতিরোধ, সামাজিক অবক্ষয় রোধ, শিক্ষা-সাংস্কৃতির উন্নয়ন, মানব সম্পদ গঠন ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা। এ ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ পুরো দেশে বিষ বৃক্ষ তামাক চাষ বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে এ স্মারক লিপি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ছাত্র জনতা পরিষদের স্মারক লিপিটি মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে প্রেরণ করা হবে বলে জানান, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুপায়ন দেব। তিনি বলেন, ছাত্র জনতা পরিষদের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবী সমূহের যুক্তিকতা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট