1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একজনের পা বিচ্ছিন্ন রোয়াংছড়িতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজিজনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝরনায় নিখোঁজ ছাত্র মেহরাবের লাশ ৪ দিনে মিলল রেজুব্রীজে আলীকদম সেনাবাহিনীর অভিযানে ৯ পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

পেকুয়ায় ৪০ বছরেও সংস্কার নেই, বিলীন হচ্ছে সড়ক  

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২৮৫ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়া প্রতিনিধি |

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৪০ বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে সোনাইছড়ি জামে মসজিদ সড়ক। গ্রামীণ অবকাঠামোর অতি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এখন প্রায় বিলুপ্তির দিকে। নেই প্রশস্ততা ও উচ্চতা। ফসলি জমির সঙ্গে ওই সড়কটি এখন একাকার। একসময় ওই সড়কটির কারণে টইটংয়ের পাহাড়ি জনপদ পূর্ব সোনাইছড়িতে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। তবে কালের পরিক্রমায় বর্তমানে শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সংযোগ সড়কটি অস্তিত্ব হারানোর মধ্যে পড়ে গেছে। গত ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে গ্রামীণ ওই সড়কটির হয়নি কোনো উন্নয়ন। সংস্কারকাজ না হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সহজ পথ শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়কটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। সড়কের উভয় পাশের জমির মালিকরা সড়কটিকে কেটে কেটে ফসলের খেতের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলছে।

হাজী বাজার-ঢালার মুখ সড়কের সোনাইছড়ি ফারুক সওদাগরের দোকান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার বিস্তৃত এ রাস্তাটি বেহাত হয়ে গেছে। অর্ধকিলোমিটার জুড়ে সোনাইছড়ির এ রাস্তাটি এখন কিছু অসাধু মানুষের কুদৃষ্টিতে পড়েছে। ঢুকে পড়েছে ভূমিদস্যু দখলবাজ চক্রের পেটে। তারা ওই সড়কটির জন্য অন্তরায়। সড়কটি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে ফসলি জমির বিল। পূর্ব সোনাইছড়ি ধানখেতের সবুজ সমারোহের ওপর দিয়ে এ সড়কটি বহমান। তবে এখন আর রাস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না। স্থানীয়রা জানান, মাটি কেটে রাস্তাটির প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। দুই পাশের ফসলি জমির মালিকরা ওই রাস্তাটি কেটে ফেলার জন্য অনেকটা দায়ী। তারা জমির আয়তন বাড়াতে শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়ক কেটে ফেলেছে। অপরদিকে দীর্ঘ চার যুগ ধরে সংস্কারবঞ্চিত থাকায় এ সড়কটির উন্নয়ন থেমে গেছে। সড়কটির অংশে একটি আরসিসি কালভার্ট ছিল। পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি অর্থায়নে ২০ বছর আগে ওই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। কুচক্রীদের লোলুপদৃষ্টিতে এ কালভার্টটিও এখন মাটিতে ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার উন্নয়ন ও এর গতি থামিয়ে দিতে মূলত কালভার্টটির ওপর নাশকতার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এর চূড়ান্ত প্রতিফলন এ কালভার্টটি ভেঙে ফেলা।

সরেজমিন পরিদর্শন করতে গিয়ে শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ সড়কটির করুণ অবস্থা নিরূপণ করা হয়। টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি হাজী বাজার-ঢালার মুখ সড়কের নবু মেম্বারের বাড়ির পূর্বপাশে ফারুক সওদাগরের দোকানের পশ্চিম অংশ দিয়ে সড়কটি সোজা দক্ষিণ দিকে বহমান। শোয়াইর বাপের জামে মসজিদ হয়ে দুদু মিয়ার বাড়ি, তজু মিয়ার বাড়ি হয়ে সড়কটি মাঝেরপাড়া ও রমিজ উদ্দিন আহমদ সড়কে গিয়ে মিশেছে। অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বাড়িঘর তেমন নেই। বড় দুটি বাড়ি আছে। তবে ওই সড়কটি সোনাইছড়ির পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের জন্য একটি সহজ মাধ্যম। পাকিস্তান আমলে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। ২০০৭ সালের দিকে একবার মাটি ভরাটসহ সংস্কার করা হয়েছিল। সে সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের জন্য দুদু মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশে আরসিসি কালভার্ট স্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে কৃষক জমির হোসেন জানান, একটি রাস্তার জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। আমি সবজি বাগান করি। পেঁপে, কলা, মাল্টা, পেয়ারাসহ ভিন্ন ফলের বাগান করি। আমার উৎপাদিত কৃষিপণ্য পেকুয়াসহ সারা দেশে সরবরাহ করি। এখানে আরো অনেক আদর্শ কৃষক আছে, যা খাদ্য উৎপাদনের জন্য এ অঞ্চলে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। রাস্তার কারণে আমরা উৎপাদন ব্যবস্থায় পিছিয়ে আছি। পরিবহন করতে সমস্যা হয়। গৃহবধূ আরিফা বেগম ও কামরুন্নাহার জানান, সোনাইছড়ির জন্য এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমিজপাড়া থেকে ঢালারমুখ- বনকানন যাতায়াতের জন্য মাঝখানে অনেক দূরত্ব কমে যায়।

ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সিকদার জানান, আসলে এ সড়কটি আমার ওয়ার্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আরসিসি কালভার্টটি ভেঙে গেছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এটি উন্নয়নের জন্য। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও টইটংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন আহমদ জানান, রাস্তাটির প্রতি সুনজরের প্রয়োজন আছে। আমরা রাস্তা হতে দেখেছি। কিন্তু একটি পুরোনো রাস্তা এভাবে শেষ হয়ে যাবে তা কীভাবে হয়।

টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসলে জমির মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। রাস্তাটি গুরুত্বপূর্র্ণ। আমার চেষ্টা থাকবে এটি যেন আবার সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়। টইটং ইউনিয়নে আমি অনেক উন্নয়ন করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট