কোরবানির ঈদ। সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন ও সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করে থাকে সামর্থ্যবান মুসলিমরা। তবে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অধিকাংশ মানুষ কোরবান করতে পারেন না। তাই ঈদের এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে যারা কোরবান দিয়েছেন, তাদের পশুর মোট মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ মাংস কোরবান না করা মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়া নিয়ম রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে এই মাংস বিতরণ করা হলে সমাজের সবাই পাওয়ার সুযোগ থাকে না।
তাই সকলে যেন ঈদের দিনে এই মাংস পায়, সে জন্য লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড খেদারবান-সুতাবাদী পাড়া গ্রামে গত ৪-৫ বছর যাবৎ সামাজিকভাবে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়ে থাকে। বিগত ৪-৫ বছর যাবৎ ফাইতং ৫নং ওয়ার্ড খেদারবান-সুতাবাদী পাড়া মসজিদ ও সমাজ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে কোরবানি দেয়া মানুষের তিন ভাগের এক ভাগ মাংস একত্রিত করে কোরবান না করা পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এই বছর (২০২৩ইং) খেদারবান-সুতাবাদী পাড়া সমাজে কোরবান না দেয়া ১৫০ পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম করে মাংস বিতরণ করা হয়। ১০টি গরু ৩টি ছাগল সহ মোট ৩০ পরিবার এবছর কোরবান দিয়েছেন।
মাংস বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, সমাজ সর্দার মো. নুরুচ্ছাফা ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ।
বিতরণ এসময় মুরুব্বীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,খেদারবান মসজিদ পরিচালনা কমিটি সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ।
সমাজ পরিচালনা সদস্য বুলবুল উদ্দিন, আব্দুল সালাম।
মোহাম্মদ এমরান, ইসমাইলুল করিম, ওমর ফারুক রাশেদ, মোহাম্মদ মিজান । এবং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড খেদারবান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও সমাজ পরিচালনা কমিটি এবং সর্দার’সহ আজকে সহযোগিতা কারীদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়।