কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৩ জন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জেলার ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এরপরের অবস্থান পেকুয়া। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এছাড়া উখিয়ায় দুইজন এবং রামুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ গণমাধ্যমকে জানান, মৃত ২০ জন ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০৩ মেট্রিক টন চাল, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১ কোটি ৭ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, বন্যায় চকরিয়া, পেকুয়া, রামু এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের কিছু জায়গায় রেললাইন পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় রেললাইনের পাথর, মাটি ও বাঁধ ভেসে গেছে। কিছু অংশে রেললাইন হেলে পড়েছে। এবারের ক্ষতি এ প্রকল্পের জন্য গুরুতর ধাক্কা এবং এ ক্ষতির কারণে প্রকল্প শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত