1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের দুই লাখ কৃষক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩২২ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা  ডেস্ক |

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা প্রায় সপ্তাহখানেক ডুবে ছিল। ৩ আগস্ট থেকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যার পানিতে তলিয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। শুধু প্রাণ কেড়ে নিয়ে থামেনি বন্যা। কেড়ে নিয়েছে কৃষকের বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকুও।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে থাকা চার জেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৯৭ জন কৃষক। আর ক্ষতির পরিমাণটাও কম নয়- ৩১১ কোটি টাকার বেশি। বন্যার পর ক্ষতির এই তালিকা তৈরি করেছে অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত এই চার জেলা হলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর। এসব জেলার কৃষকরা আউশ ধান, রোপা আমন ধান, আমন বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন ও শরৎকালীন সবজি চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ক্ষতি ৩১১ কোটি টাকার ফসল
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার জেলায় সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ৪০৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৭ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৩০ হাজার ২৬৬ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ১৮৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কক্সবাজার জেলায় ১৫ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমি বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর ফসলি জমির ফলন একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ছাড়া ফেনী উপজেলায় মোট ৩৪ হাজার ১৫৮ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে বন্যায়। এতে সব মিলিয়ে ৬০৯ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৮ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ টন ফসল।

ক্ষতিগ্রস্ত ১৯১৭৯৭ কৃষক
বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার কৃষকরা। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কৃষক আমির হোসেন প্রায় ১১ কানি (৪ দশমিক ৪০ একর) জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। তার মধ্যে দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে আউশ ধান চাষ করেন তিনি। একরাশ হতাশা নিয়ে আমির বলেন, ‘ধানের শীষ আসার সময়েই বন্যাটা এল, আর সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল।’

একইভাবে সব হারিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বন্যায় আমার ৫ একর ফসলি জমির পুরোটাই ভেসে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আমনের বীজ দেয়া গেলে আবার বীজতলা তৈরি করে চারা রোপণ করতে পারবেন। যদি সেটি সম্ভব না হয়, আমরা আগামী শীতকালীন চাষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করব।’| সূত্র- দৈনিক বাংলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট